ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

‘দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিলে জাকের পার্টি বসে থাকবে না’

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: শনিবার, আগস্ট ২৬, ২০২৩

‘দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিলে জাকের পার্টি বসে থাকবে না’
জাকের পার্টি চেয়ারম্যান মোস্তফা আমীর ফয়সল বলেছেন, এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। বড় দুটি দল পরস্পর সংঘাতমুখী। এক দল আরেক দলকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়। এটা গণতান্ত্রিক নীতি নয়। এই দুটি বড় দলের কারণে গণতন্ত্র বারবার মুখথুবড়ে পড়েছে। অসাংবিধানিক শক্তি ক্ষমতায় আসার সুযোগ পেয়েছে। 

শুক্রবার বিকালে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাকের পার্টির চতুর্থ জাতীয় কাউন্সিলে তিনি এসব কথা বলেন। 

জাকের পার্টি ও সহযোগী সংগঠনের ডেলিগেট ও কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে উদ্বোধনী মহাসমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ড. সায়েম আমীর ফয়সল, মহাসচিব শামীম হায়দারসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

সমাবেশে জাকের পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর শাহাদতের পরে বাংলাদেশের একটি নির্বাচনও নিরপেক্ষ হয় নাই। নির্বাচনের নামে খেলা হয়েছে। চক্রান্তকারীরা তাদের পক্ষে ভোটের ফলাফল নিয়ে গেছে।’

মোস্তফা আমীর ফয়সল বলেন, ‘বহু স্বৈরাচার বিশ্বের নানা দেশে উন্নয়ন করেছে। কিন্তু জনগণের সমর্থন তারা পায়নি। কারণ জনগণ চায় মুক্ত চিন্তার স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা। জনগণ বাকস্বাধীনতা চায়, ভোট দিতে চায়, তারপরই উন্নয়ন চায়।’

জাকের পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি ১৪ দলেও নাই, আমি ৩৬ দলেও নাই। আমি ১৪ দলের লেজুর নই। আমি গরিব, দুখী, মেহনতী মানুষ, প্রিয় দেশবাসী, গরিব মানুষের সঙ্গে আমাদের মহাজোট।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাকের পার্টির কাউন্সিলে আজ যে লোক সমাগম হয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটে আওয়ামী লীগ ছাড়া বাকি ১৩ দলের আমাদের এই সমাবেশের ২০ শতাংশও নাই। একই ভাবে বিএনপি ছাড়া তাদের জোটের বাকি ৩৫ দলের আজকের এই সমাবেশের লোকসংখ্যার ১০ শতাংশও নাই। কিন্তু দুঃখের বিষয় তাদের নিউজ বড় করে লেখা হয়। টিভিতে দেখানো হয়।’ 

জাকের পার্টি চেয়ারম্যান দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘স্লোগান উঠেছে খেলা হবে খেলা হবে’। একি অবস্থা? কী খেলা হবে? রক্তের হোলি খেলা হবে? উভয়পক্ষ ঢাল-তলোয়ার নিয়ে প্রস্তুত হচ্ছে। বলছে খেলা হবে। তবে আমরা থাকতে রক্তের হোলি খেলা হতে দেব না।’

তিনি বলেন, ‘দেশকে বাঁচাতে হবে, জাতিকে বাঁচাতে হবে। দেশকে বাঁচানোর জন্য যা যা করা দরকার তাই করব। যদি দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া হয় তবে জাকের পার্টির ২১ লাখ আত্মত্যাগী নেতাকর্মী বসে থাকবে না। সময় মতো সব করা হবে।’

জাকের পার্টি চেয়ারম্যান দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম বাংলাদেশকে রক্ষা করার সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রাম।’

মোস্তফা আমীর ফয়সল বলেন, ‘বড় দুই দলের জোটে যারা আছে এদের পায়ে জোর নাই। এরা আওয়ামী বা বিএনপির কাঁধে ভর দিয়ে স্বার্থ আদায় করে। এতে রাজনীতিবিদদের সম্মান থাকে না। কিন্তু উনাদের লাজলজ্জা নাই। জাকের পার্টির কাছে নীতিনৈতিকতা আগে, সমর্থন যাবে পেছনে। আমরা নৈতিকতার পথ ধরে ক্ষমতায় যেতে চাই। ইতোমধ্যে আমরা ২৬১৫ জন প্রার্থী জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য তৈরি করে রেখেছি। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত, ইনশাআল্লাহ।’