বিএনপির জন্য ‘ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন’ অনেক দূরে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে দলটির কাছে প্রশ্নও করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন বিদায় নেবেন, সেটি তিনি জানতে চান।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য ও প্রশ্ন করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি দিনের বেলায় জাগরণের স্বপ্ন দেখছে৷ দিবা স্বপ্ন দেখছে। এদেশের শতকরা ৭০ ভাগ মানুষ যাকে ভালোবাসে, যাকে ভোট দিতে চায়, সে কেন ক্ষমতা থেকে বিদায় নেবে? শেখ হাসিনা কেন বিদায় নেবেন?
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা শান্তি সমাবেশ, উন্নয়ন সমাবেশ করছি। আজকে বিএনপি নেতাদের গলা শুকিয়ে গেছে। গলায় আর জোর নাই। তাদের সমাবেশে ধীরে ধীরে লোক কমছে। আন্দোলনের মরা গাঙ্গের জোয়ার আটকে গেছে। মরা গাঙ্গে ঢেউ নেই। বিএনপির বাজার ভাঙা হাটের মতো, ভাঙা হাট আর জমে না। ডিসেম্বরে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় বসবে, দেশ চালাবেন, তারেক জিয়া নাকি দেশে আসবে, কোথায় গেল লাফালাফি? গোলাপবাগের গরুর হাটে গিয়ে লাফালাফি শেষ। তারপর পদযাত্রা থেকে শুরু করে বিএনপি এসব করে আন্দোলন জমাতে পারেনি।
সভায় রোহিঙ্গা দেশের বোঝা হয়ে আছে বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, জাতিসংঘ আগে ১২ ডলার দিত এখন ৮ ডলার দেয়। কীভাবে চলবে? কেউ সাহায্য করে না, শুধু মুখে সুন্দর সুন্দর কথা বলে। রোহিঙ্গাদের জন্য মায়া কান্না করে। তারা তাদের দেশের অন্য দেশের মাইগ্রেট জায়গা দিতে পারে না। আমাদের দেশের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত, আজকে সেখানে জীবন বিপন্ন। কক্সবাজারে জীবন আজ বিপন্ন। আমাদের ট্যুরিজম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। মুখে সুন্দর সুন্দর বাণী উচ্চারণ করে, আমাদের নেত্রীর প্রশংসা করে। কিন্তু বাস্তবে সাহায্য করার জন্য কেউ এগিয়ে আসে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নিষেধাজ্ঞার আতঙ্ক ছড়ায়। ভিসা নীতি নিয়ে আতঙ্ক ছড়ায়। বিএনপি রাস্তা বন্ধ করেছে প্রবেশপথে অবস্থান করেছে এর জন্যই তো ভিসানীতির আওতায়, নিষেধাজ্ঞা আসা দরকার। বিএনপির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় না কেন? আজকে যেসব খুনিরা বড় বড় দেশে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়, আমাদের দেশে জাতির পিতার হত্যা আসামিদের ফিরিয়ে দিচ্ছে না, এটা কোন দেশের গণতন্ত্র? সে প্রশ্ন আমরা করতে চাই।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন ও কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম।