মিয়ানমারের সামরিক সরকারের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যেসব বিদেশি প্রতিষ্ঠান জান্তাকে যুদ্ধবিমানে ব্যবহার্য জ্বালানি তেল (জেট ফুয়েল) সরবরাহ করে, সেগুলোকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বেসামরিক জনগণের ওপর সেনাবাহিনীর বিমান হামলার কথা উল্লেখ করে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
জান্তাকে জেট ফুয়েল সরবরাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এরা হলেন খিন ফিউ উইন এবং জাও মিন তুন। যেসব বিদেশি কোম্পানি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে জেট ফুয়েল সরবরাহ করে, সেসবের মধ্যে ৩টির মালিক এই দুই ব্যক্তি।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষরিত এক নির্বাহী আদেশের পর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সন্ত্রাসবাদ ও আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিধিনিষেধ আরোপের যে ক্ষমতা রয়েছে তা সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমরা সামরিক জান্তার শাসন ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বাড়তি খাতকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছি। এর মাধ্যমে আমরা জান্তাকে সেসব সম্পদ থেকে আরও বেশি বঞ্চিত করতে পারবো। যা তারা নিজ দেশের নাগরিকদের দমনে ব্যবহার করছে।
এর আগে চলতি বছর জুন মাসে মিয়ানমারের দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই দুটি ব্যাংকের মাধ্যমে মিয়ানমার অয়েল অ্যান্ড গ্যাস এন্টারপ্রাইজসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় করতো।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন সরকারকে উচ্ছেদ করে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন। অভ্যুত্থানের পর গঠিত সামরিক সরকারের প্রধানের পদেও রয়েছেন তিনি।