বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার সমালোচনা সত্ত্বেও ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় পানি প্রশান্ত মহাসাগরে ছাড়তে শুরু করেছে জাপান। এর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে জাপানি সামুদ্রিক খাদ্য আমদানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া। এছাড়া বৃহসপতিবার (২৪ আগস্ট) দক্ষিণ কোরিয়ায় জাপানি দূতাবাসের সামনে সেদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা বিক্ষোভ করেছে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।
জাপানের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে দক্ষিণ কোরিয়ায় আন্দোলন চলছে। চীনেও প্রতিবাদ হচ্ছে। জাপানি সামুদ্রিক খাদ্য পণ্যের বড় ক্রেতা চীন। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়াও জাপানি সামুদ্রিক পণ্য আমদানি করে থাকে। জাপানের দাবি, এই পানি নিরাপদ। তবে সমালোচকরা বলছে, এ নিয়ে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা দরকার ছিল। এই পানি ছাড়ার পরিকল্পনা আপাতত বন্ধ রাখা উচিত। কারণ এই পানি এখনও বিষাক্ত ও ক্ষতিকর। এর ফলে গোটা বিশ্বই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
১০ লাখ টনের বেশি তেজস্ক্রিয় পানি জমা হয়েছে ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। আগামী ৩০ বছরে এই পানি সমুদ্রে ছাড়া হবে। চীন বলেছে, একেবারে স্বার্থপর ও কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ করছে জাপান। টোকিওর এই সিদ্ধান্ত পরবর্তী প্রজন্মকে বিপদে ফেলবে। ফুকুশিমার পানি ছাড়ার পর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হবে বলে বেইজিং ঘোষণা করেছে।
খোদ জাপানের মৎস্য খাত সংশ্লিষ্টরা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। সুনামিতে ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস হলে এ অঞ্চলে মাছ ধরার কার্যক্রমের ওপর বড় আকারের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে তেজস্ক্রিয়তার আশঙ্কায় এ এলাকার মাছ কিনতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। এই খাতের নেতারা ধারণা করেন, এই উদ্যোগে তাদের বিক্রি কমে যেতে পারে এবং বিভিন্ন বাজারে তাদের পণ্যের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।