আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে জি-টুয়েন্টি সম্মেলনে ঢাকাকে দু'টি স্পষ্ট বার্তা দিতে চায় নয়াদিল্লী। ভারতের নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে সোমবার (২১ আগস্ট) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনটিই জানিয়েছে ভারতের প্রভাবশালী ইংরেজি পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইন।
পত্রিকাটির দাবি, সেপ্টেম্বরে জি-টুয়েন্টি সম্মেলনে যোগ দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে যে দু'টি বার্তা তুলে ধরা হবে তার প্রথমটি হচ্ছে- বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু হতে হবে। আর দ্বিতীয় বার্তাটি হলো- আওয়ামী লীগকে দলের ভেতরে থাকা সব চীন ও ইসলামপন্থি নেতা ঝেড়ে ফেলে অসাম্প্রদায়িক ও জনপ্রিয় প্রার্থী বেছে নিতে হবে।
বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কয়েক দফা বৈঠকের পর এ দুই বিষয়ে নয়াদিল্লী-ওয়াশিংটনের ঐকমত্য হয়েছে বলেও জানায় পত্রিকাটি। তাদের দাবি, ২০১৪ ও '১৮ সালের নির্বাচনে ঢাকার বিষয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মত পার্থক্য থাকলেও এবার তা নেই। আঞ্চলিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ মনে করলেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের চীন ঘনিষ্ঠতা দিল্লি-ওয়াশিংটনের জন্য সমান উদ্বেগের বলে উল্লেখ করে পত্রিকাটি।
এদিকে, আরেক ভারতীয় পত্রিকা দ্য হিন্দু বলছে- আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সম্পৃক্ততা বাড়িয়েছে ভারত। দেশটি সফররত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের টেলিফোন সাক্ষাৎকারের বরাত দিয়ে সোমবার এমনটিই জানায় প্রভাবশালী দৈনিকটি। সাক্ষাৎকারে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ থেকে সমদুরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরিবর্তে বিকল্প তৃতীয় কোন পথ বেছে নিতে মত দেন এই নেতা।