ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর: হাসানাত আবদুল্লাহ

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, আগস্ট ২১, ২০২৩

শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর: হাসানাত আবদুল্লাহ
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। 

তিনি আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে শান্তিশৃঙ্খলা, পর্যটন শিল্প ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিতে হবে। পার্বত্য অঞ্চলকে নিরাপদ, সুখী, উন্নত, শান্তি ও সমৃদ্ধির জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে শান্তিচুক্তি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।

রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির বৈঠকে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এসব কথা বলেন। 

বৈঠকে কমিটির সদস্য জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা), কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা এমপি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও কমিটির আহ্বায়কের বিশেষ আমন্ত্রণে বাসন্তী চাকমা এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য গৌতম কুমার চাকমা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

বৈঠকে জানানো হয়, তিন পার্বত্য জেলার সরকারি দপ্তরগুলো পার্বত্য জেলা পরিষদে স্থানান্তরের কাজ সফলভাবে এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা পরিষদে যথাক্রমে ৩০, ২৯ ও ২৮টি বিভাগ এবং দপ্তর স্থানান্তরিত হয়েছে। এতে পার্বত্যবাসী সরকারি সেবা কার্যক্রমের সুফল পাচ্ছে। এ কার্যক্রম অধিকতর ফলপ্রসূ করতে সভায় একটি কমিটি গঠন করা হয়। 

বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির কার্যক্রম গতিশীল ও ফলপ্রসূ করতে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ জনবল কাঠামো বাস্তবায়ন, দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। 

এ সময় জানানো হয়, পার্বত্য অঞ্চলের সেনাবাহিনীর প্রত্যাহারকৃত ২৪০টি ক্যাম্পে পর্যায়ক্রমে পুলিশ মোতায়েন বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন বিধিমালা-২০১৯ দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রণয়নের জন্য শিগগিরই ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। পাশাপাশি তিন পার্বত্য অঞ্চলের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে।