Can't found in the image content. ক্ষমতায় কে থাকবে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ: তথ্যমন্ত্রী | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

ক্ষমতায় কে থাকবে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ: তথ্যমন্ত্রী

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: রবিবার, আগস্ট ২০, ২০২৩

ক্ষমতায় কে থাকবে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ: তথ্যমন্ত্রী
ক্ষমতায় কে থাকবে কে থাকবে না সিদ্ধান্ত নেবে এ দেশের জনগণ বলে মন্তব্য করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। 

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘গণতন্ত্র যোদ্ধা ২১ আগস্ট বাংলাদেশের’ উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

২১ আগস্ট হামলার সঙ্গে বিএনপি জড়িত জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে জড়িত মোশতাক ও জিয়া আর ২১ আগস্টে তারেক রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ আরও বলেন, বিএনপি হত্যার রাজনীতি করে। হত্যার রাজনীতির মাধ্যমে বিএনপির উত্থান। বিএনপি ষড়যন্ত্র ও হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই বিএনপির।

তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব এখন বলছেন কোন দেশ কী বলছে তাতে কিছু যায় আসে না। তাহলে বিদেশিদের কাছে ধরনা দেন কেন? আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে। বিএনপি ভেবেছে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাবে। চারিদিকে দৌড়াদৌড়ি করে কোনো লাভ হয়নি।

দেশের মানুষের প্রতি বিএনপিকে বর্জন ও প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, ২১ আগস্ট আমরা প্রথমে মুক্তাঙ্গনে শান্তি সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম; কিন্তু সেখানে অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরে ২০ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের অফিসের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়। এটা ছিল মূলত বিএনপির পরিকল্পনা। কারণ মুক্তাঙ্গন ছিল খোলামেলা জায়গা। অপরদিকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ খোলামেলা নয়, গ্রেনেড ছোড়া তাতে সহজ ছিল। তা না হলে কেন মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হলো না? কেন সেই সমাবেশে পুলিশ দেওয়া হলো না? হামলার পর কোনো পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়নি। হামলার পর নেতাকর্মীরা যখন এগিয়ে আসে, তখন তাদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়, পানি দিয়ে এভিডেন্স পর্যন্ত ধুয়ে ফেলা হয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, হামলার পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়, মোসাদ নাকি এসে এ কাণ্ড ঘটিয়েছে। এরপর তো জজ মিয়া নাটক সাজানো হলো। বিএনপি এখন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। কয়েকটা বিবৃতিও এনেছিল। হাত-পা ধরে আর লাভ নাই, কয়েকটা বিবৃতি দিয়ে কিছু হবে না। তাদের বলতে চাই, হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি থেকে সরে আসুন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ক্ষমতায় কে থাকবে কে থাকবে না, তার সিদ্ধান্ত নেবে দেশের মানুষ। আঘাত পেলে আওয়ামী লীগ আরও সংগঠিত হয়, ঘুরে দাঁড়ায়। আমরা ভাঙব কিন্তু মচকাব না।

সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও গণতন্ত্র যোদ্ধা ২১ আগস্ট বাংলাদেশের সভাপতি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আমি শুধু বলতে চাই ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা। আওয়ামী লীগ যখন শান্তির সমাবেশ করেছিল তখন তাদের ওপর গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। আজকে এখানে যারা বসা রয়েছেন সবার শরীরে গ্রেনেডের স্প্রিন্টার রয়েছে। এসব স্প্রিন্টার নিয়ে চলা কত কষ্টের এটা শুধু তারাই জানে। তারপরও আমরা আশা করি একটি স্থিতিশীলতার মধ্যে সামনের দিনগুলোতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনে আমরা এগিয়ে যাব।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাসিমা ফেরদৌসী প্রমুখ।