জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করে সরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে নানা শ্রেণির মানুষ।
এতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও শোক জানিয়ে নিজস্ব ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এ নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়েছে।
এ স্ট্যাটাস ইস্যুতে অনেকেই ধারণা করছেন— ভিন্ন আদর্শের রাজনীতি করলেও ব্যক্তি সাঈদীকে ভালোবাসে বলে এ ধরনের স্ট্যাটাস দিয়েছেন ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী। অন্যদিকে কেউ কেউ বলছেন— শোক প্রকাশ করা নেতাকর্মীরা অনুপ্রবেশকারী হতে পারে।
শনিবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনাসভা শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতির কাছে জানতে চাওয়া হয়, সাঈদী মারা যাওয়ার পর ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী স্ট্যাটাস দিয়ে শোক জানিয়েছেন। তা হলে কি ছাত্রলীগের মাঝে বিএনপি-জামায়াত আদর্শের লোকজন আছে?
প্রশ্নোত্তরে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের যেসব নেতাকর্মী সাঈদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ইতোমধ্যে আমাদের সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলো ব্যবস্থা গ্রহণ করা শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, সাঈদীর মৃত্যুতে শুধু ছাত্রলীগ শোক জানিয়েছে এমনটি নয়। আমরা দেখেছি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যিনি অভিযুক্ত তিনি থেকে শুরু করে তাদের মূল রাজনৈতিক দল যুদ্ধাপরাধীর পক্ষে প্রকাশ্যে অংশ নিয়েছে। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে।
শুধু তাই নয়, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য বিএনপি অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছে এবং অনেক ষড়যন্ত্র করেছে। বিএনপি যে যুদ্ধাপরাধীদের প্রধান মুখপাত্র শোক প্রকাশের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে।
সাদ্দাম বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে যারা শোক প্রকাশ করেছে, তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলো ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। আমরা এ ব্যাপারে সজাগ আছি। এ নিয়ে কাজ চলছে।
কারণ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নিদিষ্ট নিয়মের মধ্য দিয়ে আমরা কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করি। বিশেষ করে যারা শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত তাদের বিষয়ে সব কিছু যাচাই-বাছাই করা হয়ে থাকে। সংশ্লিষ্টতা পেলে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু ঘিরে সারা দেশে নিজেদের ৬৮ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ।