ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে পদ থেকে সরিয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাশেদ ইকবাল খানকে। সর্বশেষ তিনি দলের সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। শ্রাবণের অসুস্থতার কারণে রাশেদ ইকবালকে ছাত্রদলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তবে হঠাৎ শ্রাবণকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা গুঞ্জন ওঠে। এ নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন অনেকেই। কেউ বলেছেন— অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে কেউ বলেছেন— শীর্ষ নেতাদের নির্দেশ অমান্য করার কারণেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনাসভা শেষে এ নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। এ সময় কী কারণে হঠাৎ ছাত্রদল থেকে শ্রাবণকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে— এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়? প্রশ্নোত্তরে ছাত্রলীগ সভাপতি
সাদ্দাম হোসেন বলেন, আগে জানতে হবে বিএনপি দলের মধ্যে রাজনৈতিক দায়িত্ব বণ্টন হয় কীভাবে? নেতৃত্বে বেছে নেওয়ার আগে এরা মূলত দেখে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে কার পারফরম্যান্স কেমন? আপনার কতগুলো সন্ত্রাসী মামলা রয়েছে। এটিকে তারা (বিএনপি) প্যারামিটার হিসেবে দেখে। এ জন্য যারা নেতৃত্বে থাকে বা নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় থাকে, তাদের এগুলোতে উৎসাহিত করে বলে দাবি করেন সাদ্দাম হোসেন।
তিনি আরও বলেন, এক কথায় আগুনসন্ত্রাসে যারা পারদর্শী থাকবে, তাদেরই নেতৃত্বে নিয়ে আসে বিএনপি। যে কারণে আমরা মনে করি, পর্যাপ্ত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না করতে পারার কারণে কিংবা আরও বেশি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে বেগবান করার জন্য তারা (বিএনপি) নতুন নেতৃত্ব নিয়ে এসেছে। যেভাবে ছাত্রদলের সভাপতি শ্রাবণকে সরিয়ে দিয়েছে, কিছু দিন পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকেও সরিয়ে দেবে না— এর তো কোনো গ্যারান্টি নেই।
আমরা ধারণা করতেই পারি, পূর্বের সভাপতির হয়তো আগুনসন্ত্রাসের কর্মকাণ্ডে পারফরম্যান্স খারাপ ছিল। লন্ডনের অর্ডার হলে তারা তো মির্জা ফখরুলকেও সরিয়ে দিতে পারে।