চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ২৮ হাজার প্রার্থীকে শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশ করার ক্ষেত্রে আইনি জটিলতার যে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল, তা কেটে গেছে। আদালতের জারি করা রুলের কারণে স্থগিত থাকা প্রার্থী ছাড়া অন্য নির্বাচিতদের নিয়োগে সুপারিশের ক্ষেত্রে কোনো আইনি জটিলতা নেই বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের সলিসিটর।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) অবগত করেছে। এনটিআরসিএ পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখে প্রার্থীদের চূড়ান্ত নিয়োগে সুপারিশ করতে চায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি মিললেই সে প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন এনটিআরসিএর একাধিক কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনটিআরসিএর একজন কর্মকর্তা শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের সলিসিটর আমাদের জানিয়েছেন- যে প্রার্থীকে নিয়ে রুল জারি করা হয়েছে, তাকে বাদ রেখে অন্যদের সুপারিশ করলে আইনি কোনো ঝামেলা নেই।
তিনি বলেন, এটি (সলিসিটরের দেওয়া পরামর্শ) আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে গতকাল (বৃহস্পতিবার) অবগত করেছি। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি মিললেই চূড়ান্ত নিয়োগে সুপারিশ করবো।
২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬৮ হাজার শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এনটিআরসিএ। অনলাইনে প্রার্থীদের আবেদন নেওয়া হয়।
চলতি বছরের ১২ মার্চ ৩২ হাজার ৪৩৮ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়। এরমধ্যে ২৮ হাজার প্রার্থী পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ করেছেন। তাদের দ্রুত যোগদানে চূড়ান্ত সুপারিশ করতে যাচ্ছে এনটিআরসিএ।