স্বাধীনতার সুফল প্রত্যেকটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার যে অঙ্গীকার তার একটি ধাপের সূচনা হলো সবর্জনীন পেনশন স্কিম বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করে এ কথা বলেন সরকার প্রধান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই স্কিমের আওতায় দেশের সকল মানুষকে পেনশন কার্যক্রমের আওতায় আনা হচ্ছে যেনো স্বাধীনতার সুফল প্রত্যেকটি মানুষের কাছে পৌঁছে যায়।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের মানুষের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। জাতির পিতার সংগ্রামের পথ বেয়েই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, জাতি হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি। আমরা যদি স্বাধীনতা না পেতাম তাহলে আমাদের কোনো পরিচয় থাকত না। শোকের মাসে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করে আমরা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার যেই স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছিলেন, সেটি বাস্তবায়নের জন্য আজকে আমরা সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করছি। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ তার জীবটাকে অন্তত সুরক্ষিত করতে পারবে।
সরকার প্রধান বলেন, দেশের মানুষের ভালবাসা, সমর্থনেই জ্বালাও পোড়াও, অগ্নিসন্ত্রাস, কোভিড মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ পার করে দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাচ্ছি। স্বাধীনতার সুফল সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আগামীতেও ভালবাসা, সমর্থন অব্যাহত রাখার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।
১৮ থেকে ৫০ বছরের বেসরকারি চাকরিজীবী, কৃষক-শ্রমিকের মতো দিনমজুর, প্রবাসী ও হতদরিদ্ররা প্রাথমিকভাবে অংশ নিতে পারবেন এ কর্মসূচিতে। এতে অন্তর্ভুক্ত হলে ৬০ বছর বয়সের পর আজীবন মাসে পেনশন পাবেন সর্বনিম্ন দেড় হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ ৭২ হাজার টাকা।
এটি সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি হলেও আপাতত এ সেবার আওতায় আসছেন বেসরকারি চাকরিজীবী, স্বকর্মে নিয়োজিত কৃষক-শ্রমিক ও রিক্সাচালকের মতো দিনমজুর, প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশি ও দরিদ্র মানুষ। বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নির্ধারিত প্রগতি স্কিমে অন্তর্ভুক্তরা মাসে জমা দিতে পারবেন ২ থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা। ১০ বছর দু' হাজার করে টাকা চাঁদা দিলে তিনি পেনশন পাবেন তিন হাজার ৬০ টাকা। একই হারে ৪২ বছরের চাঁদায় পেনশন আসবে ৬৯ হাজার টাকার। আর ৫ হাজার টাকা করে ৪২ বছরের জমায় পাবেন প্রায় পৌনে দু' লাখ টাকা।