৮ শিক্ষাবোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সকাল ১০টায় ৮ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তবে বন্যা, অতি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কারণে চট্টগ্রাম, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এ তিনটি বোর্ডের পরীক্ষা আগামী ২৭ আগস্ট শুরু হবে।
প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে গত কয়েক বছরের মতো এবারও ট্রেজারি থেকে ছাপানো সব প্রশ্নের সেটই কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএস-এর মাধ্যমে কোন সেটে পরীক্ষা হবে তা কেন্দ্রকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া আর কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারেননি। তবে সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগের জন্য শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। এ ছাড়া ১৪ আগস্ট থেকে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের কোচিং সেন্টার। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৪৩ দিন এসব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেবিব্রালপালসি) পরীক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ২০ মিনিটসহ শিক্ষক, অভিভাবকদের সাহায্য নিতে পারবেন।
ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এবার পরীক্ষা হওয়ায় ডেঙ্গু মোকাবিলায় কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিদেশে জেদ্দা, রিয়াদ, ত্রিপলী, দোহা, আবুদাবী, দুবাই, বাহরাইন, সাহাম, ওমানসহ মোট ৮টি কেন্দ্রে ৩২৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেবেন ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন। গত বছরের তুলনামূলক হিসেবে এবার ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ জন বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ১১ লাখ ৮ হাজার ৫৯৪ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ২৬ হাজার ২৫১ এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৮২ হাজার ৩৪৩ জন।
মাদ্রাসা বোর্ডের অধীন আলিম পরীক্ষার্থী ৯৮ হাজার ৩১ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ৫৩ হাজার ৬৩ এবং ছাত্রী ৪৪ হাজার ৯৬৮ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল) ও ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষায় অংশ নেবেন ১ লাখ ৫২ হাজার ৭১৭ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৯ হাজার ৫৭৩ এবং ছাত্রী ৪৩ হাজার ১৪৪ জন।
সারা দেশে ২ হাজার ৬৫৮টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা সুষ্ঠু পরিবেশে অনুষ্ঠানের জন্য নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলতি বছর সকল বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষার্থীরা অংশ নেবে। তবে আইসিটিতে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে।