পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে তোশাখানা মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। গ্রেফতারের পর থেকেই পাঞ্জাব প্রদেশের একটি জেলে বন্দি আছেন। তাকে সেখানে অবহেলায় রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তার আইনজীবীদের।
এর প্রেক্ষিতে ইমরান খানের যথাযথ চিকিৎসার এবং তার পরিবার ও বন্ধুরা যেন তার সঙ্গে দেখা করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, ইসলামাবাদ হাইকোর্টের রায়ে ১৯৭৮ সালের পাকিস্তান জেল আইনের কথা উল্লেখ করা হয়।
এর ৯২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, যে কোনো বন্দিই আইনি পরামর্শ নিতে নিজের আইনজীবী এবং পরিবারবর্গের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন।
গত ৫ অগস্ট দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের দায়রা আদালত দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে ইসলামাবাদের পুলিশ প্রধানকে তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়। তবে তার আইনজীবীদের অভিযোগ, সেই নির্দেশ না মেনে ইমরান খানকে গ্রেফতার করেছে লাহোর পুলিশ।
দায়রা আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল, ইমরান খানকে যেন রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে রাখা হয়। সেই নির্দেশও না মেনে পাক পাঞ্জাবের প্রত্যন্ত একটি জেলে রাখা হয়েছে তাকে। সেখানেও নানা অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তার আইনজীবীদের। তাই ইসলামাবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তারা।
আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতেই জেল কর্তৃপক্ষের প্রতি বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি। তিনি বলেছেন, ইমরান খানকে যেন জেলে প্রার্থনা করার আসন দেওয়া হয় এবং তিনি যেন পবিত্র কুরআনের একটি ইংরেজি সংস্করণও দ্রুত পান তার ব্যবস্থা করা হয়।
পাঞ্জাবের অ্যাটক জেল থেকে পিটিআই চেয়ারম্যান এবং পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী নেতা ইমরান খানকে যাতে দ্রুত আদিয়ালা জেলে সরানো হয়, হাই কোর্টে সেই আর্জিও করেন আইনজীবীরা।