Can't found in the image content. ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে মৈত্রী হলের ছাত্রীদের অবস্থান | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে মৈত্রী হলের ছাত্রীদের অবস্থান

মো. আতাউর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি | আপডেট: সোমবার, আগস্ট ১৪, ২০২৩

ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে মৈত্রী হলের ছাত্রীদের অবস্থান

ছবি- ফ্রিডমবাংলানিউজ

আবাসন সংকট নিরসনের তিন দফা দাবি সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রীরা।

সোমবার বেলা ১ টা থেকে সেখানে অবস্থান নেন তারা। দুপুর পৌনে ৩ টার দিকে তিনজনের একটি প্রতিনিধিদল হলের প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে যান। বাকিরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করেন।

রোববার উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানকে শতাধিক ছাত্রীর স্বাক্ষর-সংবলিত স্মারকলিপি দেন। বিকেলে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে করেন। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রীরা বলেন, তাদের দাবির বিষয়ে উপাচার্য ইতিবাচক সাড়া দেননি। এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে সোমবার তার বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন তারা। 

হলের ছাত্রীদের দাবিগুলো হলো, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল থেকে অন্তত ৩০০ জন শিক্ষার্থীকে অন্য হলে এক মাসের মধ্যে স্থানান্তরের মাধ্যমে বৈধ আসন নিশ্চিত করা, পরবর্তীতে হলের আসন সংখ্যার সঙ্গে সমন্বয় রেখে নতুন শিক্ষার্থী অ্যালটমেন্ট দেওয়া এবং হলের সার্বিক সংকট বিবেচনায় মূল ভবনের প্রতি কক্ষে ৬ জনের বেশি শিক্ষার্থী বরাদ্দ দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট না করা।

হলের ছাত্রীরা বলেছেন, অন্যান্য ছাত্রী হলে ছয় মাস অতিথি কক্ষে থাকার পর বৈধ আসন পাওয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে সে রকম সুযোগ নেই। বর্তমানে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরাও এখনো অতিথি কক্ষে থাকছেন। অতিথি কক্ষে শিক্ষার্থীদের চাপ কমানোর জন্য বর্তমানে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা হলো মূল ভবনের কক্ষগুলোতে প্রতিটিতে সাতজনকে আসন বরাদ্দ করা। 

কুয়েত মৈত্রী হলে মূল ভবনে বৈধ আসনের কক্ষের সংখ্যা ৮৯টি। ৫৭টি কক্ষে বর্তমানে সাতজন করে আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাকি ৩১টি কক্ষে ছয়জন করে শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন। 

সে ক্ষেত্রে সব কক্ষে সাতজন শিক্ষার্থীকে বরাদ্দ দেওয়া হলেও অতিথিকক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ৩১ জন শিক্ষার্থীকে মূল ভবনে বৈধ আসন দেওয়া সম্ভব। অর্থাৎ এই পদক্ষেপে প্রকৃতপক্ষে আসনসংকটের সমাধান হচ্ছে না।