ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার বিমান হামলার পর রাজধানী কিয়েভে শক্তিশালী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একটি শিশু হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুক্রবার কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিচকো রাজধানীতে অন্তত চারটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এবং শিশু হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর আলজাজিরার।
তবে এই বিস্ফোরণের উৎস তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। বিস্ফোরণের আগে দেশটির বিমানবাহিনীর অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেল থেকে একটি কেএইচ-৪৭এম২ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ব্যাপারে সতর্কতা দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের সময় গাড়ির ভেতর থাকা সতর্কতামূলক সাইরেনগুলো বাজতে থাকে আর সাধারণ মানুষকে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বাঙ্কারের দিকে ছুটে যেতে দেখা যায়।
কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিচকো টেলিগ্রামে সতর্কতা দিয়ে লেখেন, ‘শহরে বিস্ফোরণ, আশ্রয়কেন্দ্রে থাকুন দয়া করে।’ শহরের সামরিক প্রশাসন জানায়, তাদের রকেট বিধ্বংসী ব্যবস্থা কাজ করছিল।
পরে মেয়র ভিতালি ক্লিচকো জানান, শুক্রবার সকালে রাজধানীতে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল রাশিয়া। কিন্তু তাদের এ হামলা প্রতিহত করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রতিহত করা রকেটের ধ্বংসাবশেষ শহরের কয়েকটি জায়গায় আছড়ে পড়েছে। ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানায়, রাশিয়া হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাজধানীতে হামলার চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু সেটি ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে।
কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিচকো বলেন, একটি শিশু হাসপাতাল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। একজনের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে গত জুনে দখলকৃত অঞ্চলগুলো থেকে রুশ সেনাদের হটিয়ে দিতে পালটা আক্রমণ শুরু করে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। তবে তাদের এ অভিযান প্রত্যাশিত লক্ষ অর্জন করতে পারেনি। পালটা হামলায় কিছুটা ব্যর্থ হওয়ার পর রাশিয়ার ভেতর নিয়মিত ড্রোন হামলার চেষ্টা চালাতে থাকে তারা। আর এসব হামলার পর রাশিয়াও কিয়েভসহ অন্যান্য বড় শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।