বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার এ আবেদনের ওপর শুনানির পর আদেশের জন্য এই দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে হাইকোর্টে শুনানি আজ
এই দিন মামলার শুনানিতে আদালত কক্ষে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল হয়। তারেক রহমানকে পলাতক এবং তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা শুনানিতে বললে এ নিয়ে আদালতে দুপক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার রুল শুনানির জন্য দিন ঠিক করতে মঙ্গলবার হাইকোর্টে যান রিটকারী আইনজীবীরা।
আদালত শুনানির শুরুতে জানতে চান তারেক রহমানকে তো নোটিশ দেওয়া হয়নি, এর শুনানি হবে কীভাবে? এ সময় রিটকারী আইনজীবী বলেন, ওনাকে কোনো ঠিকানায় পাওয়া যায়নি। রিটাকারীর এ জবাবের বিরোধিতা করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
এ নিয়ে এজলাসে হট্টগোলের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বলেন, হাইকোর্ট রুলস অনুযায়ী অবশ্যই নোটিশ দিতে হবে তারেক রহমানকে। তবে সেটি কোন প্রক্রিয়ায় তার উপায় খুঁজতে হবে।
আদালতে উপস্থিত বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের উদ্দেশে আদালত বলেন, আপনারা যেহেতু এ মামলার শুনানিতে এসেছেন। এক অর্থে তো আপনারা নোটিশ পেয়ে গেছেন। তবে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের জবাব— তারা ন্যায়বিচারের জন্য আদালতে এসেছেন। নোটিশ পেয়ে নয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের এক রিট আবেদনে আইনের দৃষ্টিতে পলাতক তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধ করেন হাইকোর্ট। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অনলাইনে বক্তব্য দেওয়ায় ফের হাইকোর্টে আসেন রিটকারীরা। ওইদিন আদালতে রিটকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুল ইসলাম আর তারেক রহমানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল।