পাকিস্তানের সংসদ ভেঙে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের করা আবেদনে সই করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এর মধ্যে দিয়ে পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার তিনদিন আগেই দেশটির নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদ ভেঙে গেল। পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার মাধ্যমে শেহবাজ সরকারের শাসনের অবসান এবং দেশটিতে নতুন নির্বাচনের পথ উন্মুক্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বুধবার (৯ আগস্ট) প্রেসিডেন্ট আলভির কাছে পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে চিঠি পাঠান।
সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে বুধবার মধ্যরাতে প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দেন।
এদিকে পাকিস্তানের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পেছানোর ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। প্রেসিডেন্টের আহ্বানে তিনদিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের নাম প্রস্তাব করবে সদ্য বিদায় নেয়া প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ।
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার থেকে পাওয়া তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ভোটাভুটির আয়োজন হয়তো সম্ভব হবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, জনশুমারি শেষ হতে আরও সময় লাগবে। এরপর এই জনশুমারির ভিত্তিতে নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ কর হবে। তাই নির্বাচন আগামী বছরের শুরু পর্যন্ত পেছাতে পারে। তবে, সমালোচকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে, সদ্য কারাবন্দি ও নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা ইমরান খানের বিপুল জনপ্রিয়তার কারণে পরাজয়ের শঙ্কায় নির্বাচন পেছানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ।
এদিকে, পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার নথিতে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি সই করলেও তত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শাহবাজ শরীফের দলের পক্ষ থেকে শনিবারের মধ্যে তত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের নাম প্রস্তাব করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।