Can't found in the image content. নেহরু থেকে মোদি সবার কপালেই অনাস্থার ফোঁটা | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

নেহরু থেকে মোদি সবার কপালেই অনাস্থার ফোঁটা

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: বুধবার, আগস্ট ৯, ২০২৩

নেহরু থেকে মোদি সবার কপালেই অনাস্থার ফোঁটা
ভারতের ৮৬ বছরে ইতিহাসে অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হয়েছেন ৮ সরকার। ১৯৬৩ সালে প্রথম অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপিত হয় দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরু সরকারের বিরুদ্ধে। তারপর একে একে দেশটির ৮ প্রভাবশালী প্রধানমন্ত্রীর কপালেই পড়েছে অনাস্থা ভোটের ফোঁটা। পূর্বসূরিদের সেই ধারা থেকে বাদ পড়েননি বর্তমানের মোদি সরকারও। শুধু একবার নয়। একবার নয়, দ্বিতীয়বারের মতো আবারও পড়লেন অনাস্থার ফাঁদে।

কংগ্রেস সংসদ-সদস্য গৌরক গগৈ মঙ্গলবার অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব পেশ করেন। প্রথম অনাস্থা কলঙ্কের মুখে পড়ে ২০১৮ সালে। প্রথম মেয়াদের শেষ দিকে। ২৬ জুলাই লোকসভার স্পিকার ওমা বিড়লা গগৈয়ের অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করেন। ২০১৮ সালে মোদি তার প্রথম অনাস্থা প্রস্তাবকে পরাজিত করে জয়ী হন। ১২ ঘণ্টার তুমুল বিতর্কের পর লোকসভার অনাস্থা প্রস্তাবকে ১৯৯ ভোটে পরাজিত করেন।

মঙ্গলবার কংগ্রেস গৃহীত অনাস্থা প্রস্তাবটি মোদি সরকারের ৯ বছরের মেয়াদে দ্বিতীয়। বিরোধীরা জানান, তাদের উদ্দেশ্য সরকার পতন নয়। লোকসভার বিরোধী দলীয় নেতা অধীর রঞ্জন চেীধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মণিপুর সংঘর্ষের বিষয়ে সংসদে কথা বলার জন্য তাদের অনুরোধ উপেক্ষা করেছেন। আরও বলেন, ‘আমরা চাই তিনি সংসদে কথা বলুন। মূলত তার মুখ খোলাতেই আমরা অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব দিয়েছিলাম।’ সরকারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী নিজেই সুরাহা করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। ভারতের স্বাধীনতার পর থেকে মোদি সরকারের প্রতি অনাস্থার বর্তমান প্রস্তাবটিসহ লোকসভায় ২৮ বার অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। স্বাধীন ভারতের সব প্রধানমন্ত্রীর অনাস্থা প্রস্তাবের দিকে নজর দিলে দেখা যায়, শীর্ষে রয়েছেন ইন্দিরা গান্ধী। তার ১৬ বছরের মেয়াদে ১৫টি অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হন। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত ১২টি ও ১৯৮০ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত ৩টি প্রস্তাবের সম্মুখীন হন। পরের সারিতে রয়েছেন লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ও পিভি নরসিমা রাও। প্রত্যেকে ৩টি প্রস্তাবের মুখোমুখি হন। মোরারজি দেশাই ও অটল বিহারি বাজপেয়িও রয়েছেন একই কাতারে।

মোরারজি দুবার, বাজপেয়ি একবার। জওহরলাল নেহরু ও রাজীব গান্ধী মাত্র একটি করে প্রস্তাবের মুখোমুখি হন। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী চরন সিং, ভি.পি. সিং, চন্দ্র শেখর, এইচডি দেবগৌড়া ও আইকে গুজরাল কখনো এ ধরনের প্রস্তাবের মুখোমুখি হননি। অনাস্থা প্রস্তাব মাঝে মাঝে সরকারের জন্য হুমকিও হয়ে দাঁড়ায়। কারণ এর মাধ্যমে সরকার পতনের সম্ভাবনাও থাকে। ষষ্ঠ লোকসভা প্রথমবারের মতো একটি অ-কংগ্রেস দলকে ক্ষমতায় রাখেন। যখন মোরারজি দেশাইয়ের নেতৃত্বে একটি নতুন সরকার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে।

দেশাই দুটি অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হন। প্রথমটিতে তিনি জয়ী হলেও দ্বিতীয়টির আলোচনা অমীমাংসিত থেকে যায়। ১৯৭৯ সালের ১১ জুলাই তার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় প্রস্তাবটি পেশ করেন ওয়াই.ভি. চ্যাভান। প্রস্তাবে তিনি দাবি করেন জীবনের সব ক্ষেত্রে সরকারের প্রতি আস্থা হ্রাস পেয়েছে। বিতর্ক অবান্তর থাকায় দেশাই তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। রাজনীতি থেকে অবসর নেন। অনাস্থা প্রস্তাব হলো লোকসভায় সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের পেশ করা প্রস্তাব বা কার্যপ্রণালি। এ প্রস্তাব, সংসদীয় গণন্ত্রের নিয়মে কার্য পরিচালনার নিয়মের ১৯৮ বিধির অধীনে আনা হয়। প্রস্তাবের উদ্দেশ্য হলো সরকার হাউজের সংখ্যা গরিষ্ঠের আস্তা অর্জন করতে পারে কিনা তার একটি পরীক্ষা।