দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ট্যাক্সি ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে সহিংস বিক্ষোভে ৪০ বছর বয়সী একজন ব্রিটিশ নাগরিকসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে সপ্তাহব্যাপী এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিলো। পুলিশমন্ত্রী ভেকি সেল মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, নিহতদের মধ্যে ৪০ বছর বয়সী একজন ব্রিটিশ নাগরিকও রয়েছেন এবং তাকে গত বৃহস্পতিবার গুলি করে হত্যা করা হয়। বিক্ষোভে হত্যা এবং সহিংসতার তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে কেপটাউন সিটির হাতে আটক মিনিবাস ট্যাক্সিগুলোকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) নির্দেশ দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পরিবহন মন্ত্রী সিন্দিসিওয়ে চিকুঙ্গা। তিনি বলেছেন, শহর কর্তৃপক্ষের ব্যবহৃত আইনটি ‘ভুলভাবে কার্যকর এবং প্রয়োগ করা হয়েছে’। ট্যাক্সি চালক ও মালিকরা জানিয়েছেন, ছোটখাটো অপরাধের জন্য তাদের যানবাহনকে টার্গেট করা হচ্ছে এবং জব্দ করা হচ্ছে। যেসব আইন লঙ্ঘনের জন্য ট্যক্সিকে টার্গেট করা হচ্ছে তার মধ্যে সিটবেল্ট না পরা এবং সড়কের জরুরি লেনে অবৈধভাবে গাড়ি চালানোর বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে চালকরা জানিয়েছেন। তারা দাবি করেছেন, অন্যরা একই কাজ করলেও শুধুমাত্র জরিমানার সম্মুখীন হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ৩ আগস্ট থেকে ধর্মঘট শুরু হওয়ার পর থেকে ১২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিক্ষোভে নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন বলে দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশমন্ত্রী ভেকি সেল নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ধর্মঘটে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে এমন শিশুও রয়েছে যারা আর স্কুলে যেতে পারছে না। তার ভাষায়, ‘মানুষকে অবশ্যই তাদের অহংকার বাদ দিতে হবে, ঐকবদ্ধ হয়ে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।’এদিকে চলমান এই ট্যক্সি ধর্মঘটকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফররত পর্যটকদের জন্য উচ্চ নিরাপত্তা হুমকি হিসাবে তালিকাভুক্ত করে দেশটিতে ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স