ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

বঙ্গমাতার কারণেই বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক পথচলা মসৃণ হয়েছিল: আমু

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: বুধবার, আগস্ট ৯, ২০২৩

বঙ্গমাতার কারণেই বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক পথচলা মসৃণ হয়েছিল: আমু

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেছেন, মানুষের পিছুটানে যদি বাধা না থাকে, সংশয় না থাকে তাহলে তার জন্য যে কোনো কাজ করা সহজ হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু সে রকম মানুষই পেয়েছিলেন। বঙ্গমাতা কখনো বঙ্গবন্ধুর পথে বাধা হয়ে দাঁড়াননি। তিনি সাংসারিক সব দায়-দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক পথচলা মসৃণ হয়েছিল। এমনকি বঙ্গবন্ধু যে অসমাপ্ত আত্মজীবনী লিখেছিলেন- এই আত্মজীবনী লেখার পেছনে প্রেরণা ছিল বঙ্গমাতার। 

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার যুবলীগ আয়োজিত ‘প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয়-লক্ষী নারী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন আমির হোসেন আমু। 

আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু তখন জেলে। বঙ্গমাতা খাতা-কলম নিয়ে জেলে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে দিয়ে বলেছিলেন বসে বসে লিখো। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সফলতা থেকে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণের পেছনে বঙ্গমাতার অবদান সবচেয়ে বেশি। 

রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন (আইইবি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। এতে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম ও দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য অ্যাডভোকেট তারানা হালিম। আলোচনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

দীপু মনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় জাতির পিতা হওয়ার পেছনে যে মানুষটির সবচেয়ে বেশি অবদান তিনি হলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। ৬ দফার সময় যখন বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়, তখন তিনি কিভাবে দল চালিয়েছেন, নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন তা জেনে সত্যিই অভিভূত হতে হয়।

অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, বাংলাদেশের সৃষ্টির লগ্নে অনেকের অবদান লেখা আছে; কিন্তু বঙ্গমাতার বিষয়ে সেভাবে লেখা হয়নি, তার অবদানকে সেভাবে তুলে ধরা হয়নি। বর্তমানে তাকে নিয়ে অনেক লেখালেখি হওয়ার কারণে আমরা বঙ্গমাতার অবদান সম্পর্কে জানতে পারছি। 

শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ফার্স্ট লেডি হওয়া সত্ত্বেও অতি সাধারণ জীবনযাপন ছিল বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের। আজন্ম কষ্ট, বঞ্চনা এবং বিয়োগব্যথা তাকে এক অসাধারণ মানবিক ব্যক্তিতে রূপান্তরিত করেছিল। তার কোনো জৌলুস ছিল না, ছিল না কোনো চাকচিক্য। অতি সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন বেগম মুজিব। তার চাল-চলনে ছিল শাশ্বত বাঙালির মধ্যবিত্ত নারীর চিরায়ত রূপ।