ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশ করার চেষ্টাকালে নৌকা ডুবে অন্তত ১৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অন্তত দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, উত্তর আফ্রিকার তিউনিসিয়া ও পশ্চিম সাহারার উপকূলের কাছাকাছি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। তাদের গন্তব্য ছিল ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশ করা।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে প্রবেশের ক্ষেত্রে অভিবাসী ও শরণার্থীরা তিউনিসিয়াকে একটি অন্যতম পথ হিসেবে বেছে নিয়েছে। কিন্তু খুব অল্প সংখ্যক মানুষ গন্তব্য পৌঁছাচ্ছে। বরং বেশিরভাগই আটক হচ্ছে, আবার অনেকে জাহাজ বা নৌকাসহ ডুবে মারা যাচ্ছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, রোববারের (৬ আগস্ট) এ দুর্ঘটনায় তিউনিসিয়ায় ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিউনিসিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর স্ফ্যাক্সের আদালতের মুখপাত্র ফাওজি মাসমুদি জানিয়েছেন, ওই দিন সন্ধ্যায় ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, নৌযানটিতে ৫৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন, যাদের দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে। এদের সবাই সাব-সাহারা আফ্রিকার বাসিন্দা।
নিখোঁজদের সন্ধানে এখনও উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে। তবে জীবিত পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেও জানান ফাওজি মাসমুদি।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪ থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের যাওয়ার চেষ্টায় এ পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
অপরদিকে তিউনসিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ৯০১ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির নৌপুলিশ। ভূমধ্যসাগরে হয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে চলতি বছর দেড় হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।