Can't found in the image content. সাইবার নিরাপত্তা আইন আরও ভয়ংকর-বিপজ্জনক হবে: রিজভী | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

সাইবার নিরাপত্তা আইন আরও ভয়ংকর-বিপজ্জনক হবে: রিজভী

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: মঙ্গলবার, আগস্ট ৮, ২০২৩

সাইবার নিরাপত্তা আইন আরও ভয়ংকর-বিপজ্জনক হবে: রিজভী

সাইবার নিরাপত্তা আইন আরও ভয়ংকর-বিপজ্জনক হবে: রিজভী

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চেয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইন আরও ভয়ংকর ও বিপজ্জনক হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 

তিনি বলেন, ফ্যাসবাদী সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলে তাদের হাত দিয়ে ভালো কিছু হবে বলে আমি মনে করি না। দেশি বিদেশি চাপে তারা আইওয়াশ হিসেবে এটি করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চেয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইন আরও ভয়াবহ ও বিপজ্জনক হবে।

সোমবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। 

এর আগে রুহুল কবির রিজভী লিখিত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ এখন মনুষ্যত্বহীন আওয়ামী ফ্যাসিজমের কালো ছায়ার নিচে। নির্যাতনের নির্মমতার মুখে দাঁড়িয়ে আছে গণতন্ত্রকামী মানুষ। অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামী জনগণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আজ স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দি পরেও দেশকে গণতন্ত্রের অভিমুখী না করে নিষ্ঠুর ফ্যাসিজমকে প্রতিষ্ঠিত করার আয়োজন চলছে মহাধুমধামে। 

বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্র এখন মৃত, সেজন্যই গণতন্ত্রে স্বীকৃত বিরোধী দলের যেকোন কর্মসূচিকে বরদাশত করছে না অবৈধ সরকার। মিছিলের শব্দ শুনলেই গুলি চালানো হচ্ছে নির্বিচারে, সাপ পেটানোর মতো লাঠিপেটা করা হয় নেতাকর্মীদের। প্রায় প্রতিদিনই পুলিশের ছোড়া গুলিতে বিরোধী নেতাকর্মীদের হাত, পা, পিঠ, পাকস্থলী বিদ্ধ হচ্ছে না, তাদের মহামূল্যবান অঙ্গ চোখ হারিয়ে চিরদিনের জন্য অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে, চেনা পৃথিবী হয়ে যায় তাদের কাছে অচেনা। আজীবন পরিবারের বোঝা হয়ে দিন কাটাতে হয়, এ বেদনা সহ্য করার মতো নয়। তাদের সহমর্মিতা জানানোর ভাষা খুঁজে পাওয়া যায় না।

তিনি বলেন, বর্তমানে এদেশে মতপ্রকাশের ওপর বাধা নিষেধ রয়েছে। ব্যক্তি স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে গেলে তার ঠাঁই হয় কারাগারে বা আয়নাঘরে। এখন রাজনৈতিক দলের সমাবেশের অধিকার পুলিশের ইচ্ছা—অনিচ্ছার ওপর। সুষ্ঠু নির্বাচনে নিজের পছন্দের দলকে ক্ষমতায় আনার অধিকার ভোটাররা হারিয়েছেন। প্রতিনিয়ত সত্যকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার জন্য একটি তাবেদার তথ্য—ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। অতিযত্নে রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় অপপ্রচার আর কুৎসা ছড়ানোর জন্য গণমাধ্যমের কিছু অংশকে ব্যবহার করা হচ্ছে রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে। গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তনকে রোধ করার জন্য অবৈধ কতৃর্ত্ববাদী সরকার জুলুমের সর্বোচ্চ পন্থা নামিয়ে এনেছে জনগণের ওপর। গণতন্ত্রের উল্টোযাত্রাকেই অব্যাহত রাখতে চায় আওয়ামী নিপীড়ক শাসকগোষ্ঠী।

বিএনপির এই শীর্ষনেতা অভিযোগ করে বলেন, ২৮ ও ২৯ জুলাইয়ের পূর্বাপর চলছে জুলুম—উৎপীড়নের নানামুখী তৎপরতা। পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যদের কতৃর্ক গ্রেফতার-গুম কোনোভাবেই থামছে না। গভীর রাতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গোয়েন্দা পুলিশের হানায় দিনকে দিন নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে। বিশেষ বিশেষ টিম গঠন করে চালানো হচ্ছে অভিযান। এদের নেতৃত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগের দলীয় অনুগত উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা। 

তিনি আরও বলেন, আমরা জানতে পেরেছি আজ আদালতে যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ইসাহাক সরকারসহ ২৭ জন নেতাকর্মীকে দু’বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। আমরা আগেই বলেছি—সরকারের নির্দেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হচ্ছে। 

তিনি জানান, ২৮ ও ২৯ জুলাই মহাসমাবেশ এবং অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আহত হয়েছেন প্রায় ৮২০ জন এবং গ্রেফতার প্রায় ৫০০ জন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।