ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, জুলাই ৫, ২০২৪ |

EN

১১০ বছর বয়সে স্কুলে যাচ্ছেন নাওদা!

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, আগস্ট ৭, ২০২৩

১১০ বছর বয়সে স্কুলে যাচ্ছেন নাওদা!
কথায় বলে— শেখার কিংবা শিক্ষার কোনো বয়স নেই। কিন্তু তাই বলে ১১০ বছর বয়সে শিক্ষা! তাও আবার স্কুলের চৌকাঠ পেরিয়ে! যেখানে আজকালকার মানুষের ৮০ বছর বাঁচাই কঠিন হয়ে গেছে। সেখানে কিনা ১১০ বছর বয়সে স্কুলে যাচ্ছেন তিনি। সৌদি আরবের এই নারী যেন প্রমাণ করে দিলেন যে, শেখার কোনো বয়স নেই। 

আরব নিউজ সূত্রে জানা যায়, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমের উমওয়াহ গভর্নরেটের আল-রাহওয়া সেন্টারের সহায়তায় পড়াশোনা শুরু করেন নাওদা আল-কাহতানি নামের এই নারী। তার চার সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে বড় সন্তানের বয়স ৮০ বছর এবং সবচেয়ে ছোটটির বয়স ৫০ বছর। 

আল-কাহতানি সৌদি সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, পড়তে ও লিখতে শেখা তার জীবনকে বদলে দিয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে কেন্দ্রে একটি নিরক্ষরতা দূরীকরণ কর্মসূচিতে যোগদানের পর থেকে, তিনি ৫০ জনেরও বেশি লোকের সঙ্গে স্কুলে যোগ দিয়েছেন। সব বয়সের শিক্ষার্থীর বর্ণমালার মৌলিক বিষয় এবং কুরআনের কিছু আয়াত শেখানো হয়। আল-কাহতানি স্কুলের পাঠগুলো বেশ উপভোগ করছেন এবং প্রতিদিন বাড়ির কাজ শেষ করে নিয়মিত তিনি পৌঁছে যান স্কুলের দরজায়।

আরব নিউজকে তিনি আরও বলেন, পড়াশোনা শুরুর কথা চিন্তা করা একটি কঠিন বিষয় ছিল, বিশেষ করে ১০০ বছরের বেশি বয়সি ব্যক্তির জন্য। আল-কাহতানির আক্ষেপ— অনেক আগেই পড়াশোনা শুরু করা উচিত ছিল। তার মতে, শিক্ষা তার জীবনের পাশাপাশি অন্যদের জীবনেও অনেক পরিবর্তন এনেছে। তবে এটা তার একার সমস্যা নয় বলে জানিয়েছেন এই সৌদি নারী। ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতার কারণে অনেকেই তাদের পড়াশোনা শেষ করতে পারেনি।

খবরে বলা হয়েছে, আল-কাহতানির চার সন্তান তার পড়াশোনাকে সমর্থন করেন। তারা এটাও বিশ্বাস করেন যে, দেরি হয়েছে বটে, তবে আল্লাহর ইচ্ছায় এখনো সময় আছে। 

তার ৬০ বছর বয়সি ছেলে মোহাম্মদ আরব নিউজকে বলেছেন, তিনি প্রতিদিন সকালে তার মাকে শিক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে যান এবং ক্লাস শেষে তার জন্য অপেক্ষা করেন। তিনি খুশি এবং গর্বিত যে, প্রতিদিন নতুন কিছু শিখছেন। 

অপরদিকে আল-কাহতানি আশাবাদী যে, কর্তৃপক্ষ জনশিক্ষার জন্য আরও স্কুল প্রতিষ্ঠা করবে, যাতে মানুষ তাদের শিক্ষা সম্পূর্ণ করতে পারে। দেশের নেতারাও রাজ্যের সব অঞ্চলে নিরক্ষরতা দূর করতে আগ্রহী।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-কাহতানির মতো অনেকেই চান, দেশটির মানুষ সম্পূর্ণরূপে নিরক্ষরতা মুক্ত হোক। নিরক্ষরতা দূর করার জন্য প্রত্যেককে অবশ্যই হাত মেলাতে হবে, যাতে একটি স্বতন্ত্র আনুষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জন করা যায়।