Can't found in the image content. যে কারণে আকাশসীমা বন্ধ করল নাইজার, সামরিক বাহিনীও প্রস্তুত | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

যে কারণে আকাশসীমা বন্ধ করল নাইজার, সামরিক বাহিনীও প্রস্তুত

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, আগস্ট ৭, ২০২৩

যে কারণে আকাশসীমা বন্ধ করল নাইজার, সামরিক বাহিনীও প্রস্তুত
প্রতিবেশী দেশগুলোর নেতারা কয়েক দফা বৈঠকের পর নাইজারের অভ্যুত্থানকারী সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের হুমকি দেন কয়েকদিন আগেই। কিন্তু ওই সময়কে পাত্তা দেয়নি তারা। সময়সীমা শেষ হওয়ায় আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে নাইজারের জান্তা। 

কয়েক দিন আগে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা নেওয়া জান্তা সরকার জানিয়েছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য এটি বলবৎ থাকবে। 

বিবিসি ও ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ‘ফ্লাইটরাডার২৪’ দেখাচ্ছে, দেশটির আকাশের ওপর দিয়ে কোনো বিমান চলছে না।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো নিয়ে গঠিত সংস্থা ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়াস্টার্ন আফ্রিকান স্টেটস (ইকোয়াস)। সদ্য গঠিত সেনা শাসককে নাইজার জানিয়েছিল, রোববারের (৬ আগস্ট) মধ্যে শাসনক্ষমতা গণতান্ত্রিক সরকারকে অবশ্যই বুঝিয়ে দিতে হবে। এর ব্যতয় হলে যৌথভাবে নাইজারের সেনা শাসকের বিরুদ্ধে লড়বে তারা। প্রয়োজনে বল প্রয়োগও করা হবে।

এ পরিস্থিতিতে আফ্রিকায় সামরিক উত্তেজনা বেড়েছে, যখন বেঁধে দেওয়া সময় অতিবাহিত হলো। জান্তার একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘বিদেশি শক্তির হাত থেকে নাইজারকে রক্ষায় সামরিক বাহিনী প্রস্তুত।’

রোববার জান্তা সরকার আরেক বিবৃতিতে জানায়, তাদের কাছে তথ্য রয়েছে দেশটি আক্রমণের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। সামরিক হস্তক্ষেপ মোকাবিলায় ওয়াগনারের সহায়তা চেয়েছে তারা।

গত ২৬ জুলাই সেনাবাহিনীর হাতে বন্দি হন পশ্চিমা সমর্থিত দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুম। তারই বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল আবদুরাহমানে চিয়ানি নিজেকে নতুন নেতা ঘোষণা করেন।

সাহারা মরুভূমির প্রান্তে অবস্থিত নাইজার। ফ্রান্স থকে ১৯৬০ সালে স্বাধীন হয় দেশটি। স্বাধীনতার পর বেশ কয়েকটি অভ্যুত্থানের কারণে রাজনীতিতে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করে। ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট হন বাজুম। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৬০ সালে স্বাধীন হওয়ার পর নাইজারের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট তিনি।

এদিকে গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাতে নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ।