পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় শুক্রবার রাজধানীতে সমাবেশ ডেকেছিল জামায়াতে ইসলামী। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলটিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এমতাবস্থায় শুক্রবার পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী নির্ধারিত শান্তিপূর্ণ সমাবেশ স্থগিত করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াত।
শুক্রবার সোয়া ১১টায় রাজধানী পল্টনের একটি হোটেলে দলটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন।
আগামী রোববার (৬ আগস্ট) সারা দেশের বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জামায়াত আইনের দৃষ্টিতে সভা-সমাবেশ করার সুযোগ পাবে, এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু জামায়াতকে সে সুযোগ না দিয়ে সারা দেশে জামায়াত নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে রাজধানীসহ সারা দেশে জামায়াতের আট শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ জামায়াত নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিয়ে মূল্যবান আসবাবপত্র ভাঙচুর ও তছনছ করছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নারীদের নাজেহাল করছে। কোনো কোনো এলাকায় পুরুষ নেতাকর্মীদের না পেয়ে তাদের স্ত্রী-সন্তানদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এসব কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ বেআইনি ও মানবাধিকার পরিপন্থী।
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, আজকের সমাবেশ বাস্তবায়নে আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলাম। আমরা বারবার বলে আসছি, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চাই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কোনো ধরনের সংঘাত, সংঘর্ষে বিশ্বাসী নয়। প্রশাসন সহযোগিতার পরিবর্তে একটি সংঘাতমুখর পরিবেশের অবতারণা করেছে। তাই আমরা আজকে সোহরাওয়াদী উদ্যোনের সমাবেশের কর্মসূচি স্থগিত করছি। এর প্রতিবাদে আগামী রোববার (৬ আগস্ট) দেশের সব বিভাগীয় শহরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করছি। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে জনগণের অংশগ্রহণ এবং প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমির আ. রহমান মুসা, নায়েবে আমির ইঞ্জি. গোলাম মোস্তফা, দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারি মো. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।