বিএনপির কেন্দ্রীয় বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। দুই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ের সামনে বৃহস্পতিবার বিকালে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ডিবিপ্রধান বলেন, বিএনপির ডাকা গত ২৮ জুলাইয়ের সমাবেশের কোনো অনুমতি ছিল না। সমাবেশের দিন বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। দুটি মামলায় সালাউদ্দিন আহমেদ প্রধান আসামি। দুই মামলাতেই তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
হারুন আরও বলেন, বিএনপির ডাকা অবৈধ সমাবেশের পরদিন অনুমতি ছাড়াই অবস্থান কর্মসূচির নামে যাত্রাবাড়ী এলাকার রাস্তা বন্ধ করে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়ে রক্তাক্ত করে এবং তিনটি বাসে আগুন দেয়।
তিনি জানান, এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় চারটি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলার এক নম্বর আসামি সালাউদ্দিন। অন্য দুটি মামলায়ও তিনি এজাহারভুক্ত আসামি। এজন্য ডিবি ওয়ারী বিভাগ তাকে গ্রেফতার করেছে। আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি।
এর আগে দুপুরে সালাউদ্দিন আহমেদের ছেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে আদালতে হাজিরা দিয়ে বাসায় ফেরার পথে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী (হানিফ উড়াল সড়ক) থেকে তার বাবাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে।
এদিকে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বলেছেন, বৃহস্পতিবার বিকালে আদালত থেকে ফেরার পথে সালাউদ্দিন আহমেদ ছাড়া আরও ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিএনপিপন্থি আইনজীবী রোকনুজ্জামান সুজা বলেন, বৃহস্পতিবার আগাম জামিন নিতে উচ্চ আদালতে যান সালাউদ্দিন। সেখান থেকে ফেরার পথে তিনি ও তার গাড়িচালক মো. কাজলসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়।
তাদের সঙ্গে থাকা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নেতা ও যাত্রীবাড়ী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান ভান্ডারি বলেন, এদিন সালাদ্দিনের সঙ্গে আগাম জামিন নিতে আদালতে যান ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সচিব ঢাকাইয়া শাহীন, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম মুন্সী, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবির হোসেন মনির, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের যুগ্ম আহ্বায়ক নিয়ামুল হক ও সদস্য মো. নয়ন।