পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। একই সঙ্গে বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। সংবিধান অনুযায়ী, মেয়াদ শেষের পর নির্বাচন আয়োজনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে আগামী ১২ আগস্টের আগেই সংসদ ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
সোমবার (৩১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিত্র দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শের আলোকে আগামী ১২ আগস্টের আগে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। জিও নিউজ প্রোগ্রামে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
রোববার দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহবাজ বলেন, জাতীয় পরিষদের মেয়াদ ১২ আগস্ট শেষ হবে এবং তার আগেই সংসদ ভেঙে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এর পর নির্বাচন কমিশন আগামী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে।
শরিফ আরও বলেন, জাতীয় পরিষদের বিরোধী দলের নেতার সঙ্গে পরামর্শ করে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং তার আগে তিনি সমস্ত মিত্র দল ও পাকিস্তান মুসলিম লীগের (এন) নওয়াজ শরিফের সঙ্গে এই বিষয়ে পরামর্শ করবেন।
ডন জানিয়েছে, বর্তমান অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করার বিরোধিতা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ। নির্বাচন নিয়ে যেন প্রশ্ন না ওঠে সেজন্য এই পদে নিরপেক্ষ কোনো ব্যক্তিকে চাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
এর আগের দিন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তীব্র সমালোচনা করেন শাহবাজ। এমনকি গত ৯ মে সামরিক নেতৃত্বের পতনের লক্ষ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনার পেছনে ইমরানকে ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলেও তিনি অভিহিত করেন।
শাহবাজ শরিফ আরও বলেন, পিটিআই কর্মীদের পাশাপাশি একদল রাজনীতিবিদ, কিছু সামরিক ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারও ৯ মের সহিংসতায় জড়িত ছিল।পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ওই দিনটিকে পাকিস্তানের ইতিহাসে ‘কালো দিবস’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে।