ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, নভেম্বর ৫, ২০২৪ |

EN

১ লাখ ২০ হাজার বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণতম মাস জুলাই

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: শনিবার, জুলাই ২৯, ২০২৩

১ লাখ ২০ হাজার বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণতম মাস জুলাই
বিশ্বজুড়ে দিনে দিনে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে তাপমাত্রার ভয়াবহতা। কেটলিতে থাকা ফুটন্ত পানির মতোই বেড়ে চলেছে উষ্ণতা। জলবায়ুর এমন বৈরী প্রভাবে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। আবহওয়ার প্রতিকূলতায় বর্তমান এ সময়কে তাই ‘ফুটন্ত যুগের’ সঙ্গে তুলনা করলেন জাতিসংঘের মহাসচিব। জাতিসংঘের প্রধান অ্যান্তোনিও গুতেরেস (৭৪) বলেন, ‘জুলাইয়ের তাপমাত্রা রেকর্ডে প্রমাণিত হয়েছে যে, পৃথিবী বৈশ্বিক উষ্ণতার যুগ থেকে বৈশ্বিক ফুটন্ত যুগে প্রবেশ করেছে।’ নিউইয়র্কে একটি বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এমনটি জানান। এ ছাড়াও কিভাবে এ পরিস্থিতি থেকে অবিলম্বে পরিত্রাণ পাওয়া যায় তা নিয়েও ভাবা হচ্ছে। আলজাজিরা। 
    
মহাসচিব উত্তর গোলার্ধজুড়ে তীব্র দাবদাহকে ‘নিষ্ঠুর গ্রীষ্ম’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি আরও বলে, ‘পুরো গ্রহের জন্য এটি একটি বিপর্যয়। ২০২৩ সালের জুলাইয়ের দাবদাহ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দেবে। জলবায়ু পরিবর্তন এখানে ভয়ংকর। এটি মাত্র শুরু। বৈশ্বিক উষ্ণতার যুগ শেষ হয়েছে; বৈশ্বিক ফুটন্ত যুগ এসেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়ানক ফলাফল এখন আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে। বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা সঠিক হয়েছে। তবে এই পরিবর্তন বিজ্ঞানীদের অনুমানের চেয়েও দ্রুতগতিতে হয়েছে।’ পর্তুগিজের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তাপমাত্রার সঙ্গে উষ্ণ বাতাসও অসহনীয়। এখনো জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে লাভের আশা করা এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে নিশ্চুপ থাকা অগ্রহণযোগ্য। নেতাদের অবশ্যই নেতৃত্ব দিতে হবে। আর কোনো দ্বিধা নেই। আর কোনো অজুহাত নেই।’
 
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের রেকর্ড ব্রেকিং তাপমাত্রাকে ‘অস্বিত্বের হুমকি’ বলে উল্লেখ করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমানের আবহওয়া একমাত্র ঘাতক। প্রতি বছর এই তাপের প্রভাবে ৬০০ শ্রমিক মারা যায়। শ্রমিকদের জন্য তাই তাপ সম্পর্কিত সুরক্ষা নিয়মগুলোকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।’ এদিকে জার্মানির লাইপজিগ ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী ডক্টর কার্স্টেনের বিশ্লেষণ বলছে, জুলাই মাসটি ১ লাখ ২০ হাজার বছরের মধ্যে রেকর্ড করা সবচেয়ে উষ্ণতম মাস।