কয়েক বছর আগে ভারতীয় ক্রিকেটার মোহাম্মদ কাইফ একবার বলেছিলেন, যদি কাশ্মিরের যুবকরা বন্দুকের বদলে খেলার ব্যাট আর পাথরের বদলে বল হাতে তুলে নেয়, তাহলে কাশ্মিরে স্বস্তি ফিরে আসবে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) কাশ্মিরের অসংখ্য ক্রিকেটারের উপস্থিতি আজ সেই কথার বাস্তব প্রমাণ বহন করে।
চার বছর আগে ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভারতের রাজ্যসভায় জম্মু ও কাশ্মির পুনর্গঠন বিল-২০১৯ উত্থাপন করেন।
এরপর জম্মু ও কাশ্মির নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। সংবিধানের ৩৭০নং অনুচ্ছেদ বাতিল করে জম্মু-কাশ্মির এবং লাদাখকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের পর ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তান ও চীন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৫ সদস্য রাষ্ট্রকে বিবৃতি দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিল। তবে এতে রাজি হয়নি তারা।
শ্রীনগরে কাশ্মিরের ঘটনাবলি নিয়ে অসংখ্য সিনেমার শুটিং হলেও, সেখানে একটি সিনেমা হলও ছিল না। তিন দশক পর শ্রীনগরে সিনেমা হল করা হয়েছে, যা নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে।
শ্রীনগরের আইকনিক বকশি স্টেডিয়ামটি ফিফার মানদণ্ডে নির্মাণ করা হয়েছে। এতে রয়েছে বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা। নওগামে ১৫০ শয্যাবিশিষ্ট অত্যাধুনিক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়েছে। শ্রীনগরের সেমপোরা এলাকায় এ বছর একটি মেগা-মলেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
কাশ্মিরের উন্নয়নে এমন নানা কাজ হাতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে অঞ্চলটিতে বড় অংকের অর্থ ব্যয় করারও পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের পরও কাশ্মিরের পরিস্থিতির সত্যিই উন্নতি হয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবৈধ নয়। এটা বলা ভুল হবে যে সহিংসতা পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তিন দশকের বিদ্রোহ কাশ্মিরকে অনেকটাই অস্থির করে ফেলেছিল। তবে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে এলেও আজও সেই সহিংসতার কিছু অংশ অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র: 'মডার্ন ডিপলোমেসি'তে ভাইসালি বসু শর্মার লেখা