Can't found in the image content. বিএনপির সমাবেশে গণগ্রেফতার নিয়ে যে বার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

বিএনপির সমাবেশে গণগ্রেফতার নিয়ে যে বার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: শুক্রবার, জুলাই ২৮, ২০২৩

বিএনপির সমাবেশে গণগ্রেফতার নিয়ে যে বার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র
রাজধানী ঢাকায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমাবেশ প্রসঙ্গে কথা বলেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এ ছাড়া মহাসমাবেশ ঘিরে নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতারে বিএনপির অভিযোগের বিষয়টিও নজরে এসেছে পররাষ্ট্র দপ্তরের।

পররাষ্ট্র দপ্তরের এক ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এ ছাড়া বাংলাদেশে আলাদা করে কোনো রাজনৈতিক দলকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না বলেও জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপারসন বেদান্ত প্যাটেল। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে ব্রিফিংয়ের বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।

ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি সংঘাতময় হয়ে উঠছে। বিরোধী দল বিএনপি তাদের জনসভা ২৭ জুলাই থেকে একদিন পিছিয়ে শুক্রবারে নির্ধারণ করে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও পালটা রাজনৈতিক সমাবেশের আয়োজন করছে।

ক্ষমতাসীন এই দলটি বিরোধীদের সভা-সমাবেশ রাষ্ট্রের ওপর সহিংসতার উসকানি হিসেবে বিবেচনা করে। এ ছাড়া ক্ষমতাসীন দলের পালটা কর্মসূচির সুবিধার্থে বিরোধীদের সমাবেশে বাধা দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র অতিরিক্ত সময় কাজ করছে। পুলিশ হাজার হাজার বিরোধী কর্মীকে গ্রেফতার করেছে বলে বিরোধী দল অভিযোগ করেছে। 

শাসক দল রাজপথে যেভাবে সহিংসতাকে উসকে দিচ্ছে তাতে বাংলাদেশের এই সংঘাতময় পরিস্থিতিকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করছেন?

জবাবে প্যাটেল বলেন, আমি গতকাল এ বিষয়ে একটু কথা বলেছিলাম এবং আমি খুব স্পষ্ট করেই সেসব কথা বলেছি। আমি আমার আগের কথাই পুনর্ব্যক্ত করে বলব, গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই এবং যুক্তরাষ্ট্র, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষপাতী নই।

তিনি আরও বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে আমরা সমর্থন করি। আমরা এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের একসঙ্গে কাজ করার গুরুত্বের ওপরও জোর দিয়েছি। আমরা নিশ্চিতভাবেই বিশ্বাস করি যে, এই প্রচেষ্টায় রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান বা সুযোগ নেই।

উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবিতে শুক্রবার দুপুরে ঢাকার নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। এ ছাড়া একই দিন একই দাবিতে পৃথকভাবে সমাবেশ করবে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অন্য দলগুলোও।

অন্যদিকে শুক্রবার দুপুরে ঢাকার বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ। ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের পালটাপালটি সমাবেশ কেন্দ্র করে জনমনে উত্তেজনার আশঙ্কা রয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে ২৩ শর্তে বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে সমাবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ।