ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ |

EN

আন্দোলনের নামে সহিংসতা, জবাব দিবে তরুণ প্রজন্ম: আরিফ

মতামত ডেস্ক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, জুলাই ২৭, ২০২৩

আন্দোলনের নামে সহিংসতা, জবাব দিবে তরুণ প্রজন্ম: আরিফ

লেখক: আরিফুল ইসলাম আরিফ, উপ - প্রশিক্ষণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

সমাবেশ পাল্টা সমাবেশ: তরুণ প্রজন্মের ভাবনা-

সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে দেশের যেকোন স্থানে বিএনপি কোন সমাবেশ ও আন্দোলনের ডাক দিলে বিপরীতে আওয়ামিলীগ ও অঙ্গ সংগঠন ওই নির্দিষ্ট দিনেই পাল্টা শান্তি সমাবেশের আহবান করে রাজপথে সরব উপস্থিতি রাখে। আওয়ামী লীগের এই কপি পেস্ট রাজনীতির কারণ কী হতে পারে? কেনো অন্যকোনো দিন আওয়ামী লীগ সমাবেশ না করে ওই দিনেই সমাবেশের আয়োজন করে?  আওয়ামী লীগ কি বিএনপির আন্দোলন নিয়ে ভয়ে থাকে? - এই রকম অনেক নৈর্বাচনিক প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে। 

সাংবাদিক মুন্নী সাহা একবার খালেদা জিয়াকে প্রশ্ন করেছিলেন - " ম্যাডাম গত দুই মাসে আন্দোলন ও ১২১ টি প্রাণ, বিএনপি আন্দোলন থেকে কী পেয়েছে? " প্রতিত্তরে খালেদা জিয়া ক্ষোভ ও তাচ্ছিল্যের ভঙ্গিতে বলেছিলেন 'জনগণের সমর্থন' পেয়েছে।

অতীত ইতিহাস বলে সংগঠন বিএনপি ও তাদের নেতাকর্মীরা আন্দোলন বলতে বুঝে ককটেল বিস্ফোরণ, পেট্রোল বোমা, বাসে আগুন,  জনগণের জানমালের ক্ষতি,  রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি নষ্ট করা ও জনদূর্ভোগ সৃষ্টি করা। 

২০১৩-২০১৫  সালে আন্দোলনের নামে বিএনপির আগুন সন্ত্রাস, সহিংসতা ও  তান্ডব বর্তমান ইয়াং জেনারেশনের ও বাংলাদেশের জনগণ কোনদিন ভুলবে না। ককটেল হামলায় চোখ হারানো অন্তু বড়ুয়া, বাসের আগুনে কন্যা সন্তান ও স্বামী হারানো মাফুয়া বেগমের আর্তনাদ, নিজ চোখের সামনে ভ্যানচালক রমজান আলীর সন্তান মনির হোসেনের আগুনে পুড়ে যাওয়া সহ অসংখ্য মানুষের প্রিয়জন হারানোর আর্তনাদে চোখ ভারী হয়ে উঠে৷ শুধুমাত্র ২০১৫ সালে আওয়ামিলীগ সরকারের একবছর পূর্তির সময়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলো আন্দোলনের নামে ২৩১ জনকে হ*ত্যা করে, আহত হয় প্রায় হাজার খানেক সাধারণ মানুষ। প্রায় দুই হাজারের উপরে বাস-ট্রাক ধ্বংস করা হয়। ধ্বংস করা হয় ট্রেন লাইন ও যাত্রীবাহী লঞ্চ। সুধীমহলের অনেকেই বিএনপির ওইসময়ের বর্বর ধ্বংসযজ্ঞের সাথে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞের তুলনা করে থাকে৷ 

গত হয়েছে অনেকগুলো বছর কিন্ত বিএনপির আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ভোল পাল্টায়নি। চলতি বছরের গত মে মাসে সাইন্সল্যাবে বিআরটিসির একটি বাসে আগুন দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা, নষ্ট করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ। 

যখনই বিএনপি কোন আন্দলোনের ডাক দেয় তখন দেখা যায় জনমনে আতংকের সৃষ্টি হয়, সাধারণ জনগণের মনে তথা সমাজে ভীতিকর ও ভয়ংকর একটি পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকার্যক্রম নিয়ে  উদ্ধিগ্ন থাকে অভিভাবক সমাজ।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ গত একযুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতাসীন সরকারে আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একক প্রচেষ্টায় আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। বাংলাদেশের অবকাঠামোগত ঈর্ষণীয় উন্নয়ন লক্ষণীয়।  ঢাকা শহরে মেট্রোরেল প্রায় সম্পন্ন , এলিভেটেড  এক্সপ্রেস ওয়ের কাজ চলমান,  পদ্মাসেতু দৃশ্যমানসহ আরো শত-শত উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন বা চলমান । অর্থনীতির সবগুলো ক্যাটাগরিতেই ঈর্ষনীয় সাফল্য  অর্জন করেছে। শহর থেকে গ্রাম সকল ক্ষেত্রেই সমভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান। 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কেনো বাংলাদেশের কোন জনগণই চায় না এই উন্নয়নধারা থেমে যাক। মেট্রোরেলে কেউ আগুন দিক, রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি কেউ ধ্বংস করুক,  বাসে বাসে আগুন দিয়ে নিরীহ মানুষকে হত্যা করুক, সন্তান ও স্বামীহারা কোন নারী,  পেট্রোল বোমায় এতিম হয়ে থাক কোন শিশু, বন্ধ হয়ে যাক স্কুল কলেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। 
আন্দোলনের নামে কোন অরাজকতা নৈরাজ্য কায়েক করুক,  বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিক। 

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের এই কপি পেস্ট রাজনৈতিক কৌশল  ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নয়। এই রাজনৈতিক কৌশল ক্ষমতা হারানোর ভয়ে নয়,  এই কৌশল শো অফের নয়। 
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ চায় না কেউ আন্দোলনের নামে সহিংসতা করুক,  বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ চায়না কেউ সমাবেশের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করুক, আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করুক,  নিজেদের প্রচেষ্টায় গড়ে উঠা উন্নয়ন কর্মকান্ডের কোন ক্ষতি সাধন হোক। 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাই তরুণ প্রজন্মকে সাথে নিয়ে ওইসব দেশ বিরোধী অপশক্তিদের ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড প্রতিহত করতে রাজপথে অবস্থান করে৷ পাল্টাপাল্টি সমাবেশের আয়োজন করে থাকে৷ 

শেখ হাসিনার শক্তি যেমন দেশের জনগণ তেমনি এই সাধারণ জনগণের জন্যেই শেখ হাসিনার সবচেয়ে বেশি ভয় ও ভালোবাসা কাজ করে। এই সাধারণ জনগণের যেন কেউ কোন ক্ষতি করতে না পারে, তাদের যেন কোন কষ্ট না হয়, কিভাবে দেশ ও দেশ ভালে থাকবে এই ভাবনায় তিনি করেন সবসময়।

সমাবেশের নামে কোন অরাজকতা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ চায় না,  আন্দোলনের নামে সহিংসতা তরুণ প্রজন্ম জবাব দিবে,  অধিকারের কথা বলে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইলে স্মার্ট জেনারেশন প্রতিহত করবে। 

জয় বাংলা 
জয় বঙ্গবন্ধু

লেখক: আরিফুল ইসলাম আরিফ, উপ - প্রশিক্ষণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।