স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মাদকের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। মাদকমুক্ত করতে নানা পরিকল্পনা করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বাড়ানো হবে আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবসে। মাদাকের চাহিদা কমাতে সামাজিক আন্দোলন ও সচেতনতার বিকল্প নেই। তরুণদের মাদক থেকে রক্ষা করা না গেলে দেশকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না। বিভিন্ন দেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে মাদক আসে। এর মধ্যে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আসে, ভারত থেকে আসে ফেনসিডিল। ভারত মাদক নিয়ন্ত্রণে সহোযোগিতা করলেও মিয়ানমার সহায়তা করছে না। দেশে যেনো মাদক প্রবেশ করতে না পারে সেটি নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার। সর্বাত্মক প্রচেষ্টা রয়েছে। যারা মাদকে আক্রান্ত তাদের জন্য পুনর্বাসন কর্মসূচি রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক মাদক দিবসের প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
দেশের বড় দুটি দলের জনসভা একইদিনে, এতে শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হবে কি না?- জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কোনো বাঁধা নেই। তবে তারা যেনো মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি না করেন এবং বিশৃঙ্খলা না করেন। সেটি হলে ব্যবস্থা নেবে নিরাপত্তা বাহিনী। তারা যেনো রাস্তায় চলাচল বন্ধ না করেন, মারামারি না করেন। বিএনপি আজকে করতে চেয়েছিল, তবে রাস্তায় না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তারা আগামীকাল করতে চায়, সে ব্যাপারেও তাদের রাস্তায় না করার অনুরোধ রইলে। দুই দলের ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য।
মন্ত্রী বলেন, দুটি জনসভাই কাছাকাছি। আমরা সবাইকে রাজপথে না করার জন্য বলেছি। তারপরও তারা যেনো সহিংসতার দিকে না যান। তবে এখনও দুই দলের জনসভার স্থানের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তারপরও তারা যদি করেন, সহিংসতা ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা যাবে না।