Can't found in the image content. এটি তলব নয়, আমন্ত্রণ ছিল: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

এটি তলব নয়, আমন্ত্রণ ছিল: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, জুলাই ২৭, ২০২৩

এটি তলব নয়, আমন্ত্রণ ছিল: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় বিবৃতি দেওয়া ১৩ দেশের রাষ্ট্রদূত ও মিশনপ্রধানদের ডাকা হয়েছিল। তাদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা না বলতে আহ্বান জানিয়েছি। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সচেতন থাকতেও তাদের সতর্ক করা হয়েছে।

বুধবার রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিকাল ৪টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তিনি জানান, হিরো আলম ইস্যুতে ১৩ মিশনের বিবৃতি বস্তুনিষ্ঠ ছিল না। এ ধরনের কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।

তবে বিষয়টিকে ‘তলব’ বলতে চাননি প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটি তলব নয়, আমন্ত্রণ ছিল। আমরা তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এর আগে জাতিসংঘের প্রতিনিধিকে আমরা তলব করেছিলাম। এটাকে আমরা তলব বলছি না।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের (কূটনীতিকদের) বলেছি যে, এটি একটি ঘটনা যা দিয়ে সারাদিনের শান্তিপূর্ণ, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনকে মূল্যায়ন করা ঠিক হবে না। এই নির্বাচনে কোনো সহিংসতা হয়নি। একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কূটনৈতিক ব্যক্তিরা যেভাবে উপস্থাপন করেছেন তা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে প্রতিফলন করে না। দ্রুত প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তারা মূল্যায়নের বস্তুনিষ্ঠতার প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেননি।

তবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, মিশনপ্রধানরা তাদের অবস্থান বোঝাতে বলেন, এটি অন্য কোনো উদ্দেশ্যে করা হয়নি। তারা আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সহযোগিতা করার জন্য করেছেন।

মো. শাহরিয়ার আলম আরও বলেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই, তারা বিবৃতি দেওয়ার আগেই এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবু তারা পরদিন বিবৃতিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যা অযাচিত ও অপ্রয়োজনীয়। তাদের বিবৃতির বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। বিবৃতিটি তড়িঘড়ি করে অপরিণতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করি আমাদের আজকের আলোচনার পর তারা সেটি উপলব্ধি করবেন। ভবিষ্যতে এমন অকূটনৈতিক আচরণ থেকে বিরত থাকবেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকে তাদের কূটনৈতিক আচরণবিধি সম্পর্কিত ভিয়েনা কনভেনশন স্মরণ করিয়ে দিয়ে গঠনমূলক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। পাশাপাশি এও সতর্ক করা হয়েছে যে, সরকারকে পাশ কাটিয়ে বস্তুনিষ্ঠতা, নিরপেক্ষতা ও পক্ষপাতহীনতা বর্জিত আচরণ কেবলই পারস্পরিক আস্থার সংকট তৈরি করবে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকের বৈঠকে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে বিজয়ী নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত উপস্থিত ছিলেন। বিজয়ী প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত নিজেও এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন, দ্রুত বিচারের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মিশনপ্রধানদের এ কথা জানান।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এ দেশগুলোতেও আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানাব। সে দেশগুলোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হবে। তিনি বলেন, পশ্চিমা ১৩ দূতের বিবৃতি বা তা নিয়ে সরকারের অবস্থানে দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের কোনো টানাপড়েন হবে না। ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন ১৭ জুলাই রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্রে পরিদর্শনে গেলে হিরো আলম হামলার শিকার হন। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস।

এ বিষয়ে সরকারের বক্তব্য জানাতে ১৩টি মিশনে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়। উল্লেখ্য, এর আগে হিরো আলমের ওপর ওই হামলার ঘটনায় টুইট করায় জাতিসংঘের প্রতিনিধিকে তলব করা হয়েছিল। ঢাকায় জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক সমন্বয়কারী শেলডন ইয়েটকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সরকার।