তিল তিল করে অর্থ জমা করছিলেন মালয়েশিয়ান এক বর্ষীয়ান নারী। সেই টাকা দিয়ে পবিত্র হজে যাওয়ার কথা ছিল তার। এ জন্য কাঠের বাক্সও বানিয়েছিলেন তিনি। তাতে অল্প অল্প করে জমা করেন অর্থ। খুব আশা নিয়ে সম্প্রতি ওই বাক্স খুলেই চোখ কপালে ওঠে তার। দেখতে পেলেন, সব অর্থই পোকামাকড়ে খেয়ে সাবাড় করে দিয়েছে।
যেটুকু অবশিষ্ট আছে, তার বেশিরভাগই কেউ রিঙ্গিত বলে চিনবেন না। স্বীকৃতিও দেবেন না। খায়রুল আজহার নামে ওই নারীর একজন নাতি এ ঘটনার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন সোমবার। তাতে দেখা গেছে, জমানো রিঙ্গিতগুলো পোকামাকড়ে খেয়ে ঝুর ঝুরে করে ফেলেছে। সব মিলে তার জমার অংক ৩০ হাজার রিঙ্গিত।
ডলারে এর পরিমাণ ৮ হাজার ৭০০। খায়রুল বসবাস করেন কেলান্তানে। তিনি খেয়ে ফেলা নোটগুলো মালয়েশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দিয়েছেন। মনে করছেন, পালটে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে নতুন নোট দেবে। বাকি রিঙ্গিতগুলো চেনার উপায় নেই। এর পরই খায়রুল বলেছেন, সম্ভবত তার দাদির হজে যাওয়া সম্ভব হবে না। তিনি আগামী বছর পবিত্র হজ করার নিয়ত করেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি লিখেছেন, এ থেকে একটি শিক্ষা হওয়া উচিত। তা হলো— এত পরিমাণ অর্থ বাড়িতে রাখা ঠিক নয়।
এ পর্যন্ত তার পোস্টে কমেন্ট করেছেন কমপক্ষে ২৬০ জন। শেয়ার হয়েছে কমপক্ষে ৬৫০ বার। খায়রুলের দাদির জন্য অনেকে সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। অনেকে বলেছেন, বিষয়টি বাড়িতে অর্থ রাখার নয়। তা কিভাবে কোথায় রাখা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেটি। ফেসবুকের একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, রিঙ্গিতগুলো যদি মুড়ির একটি টিনে রাখা হতো তা হলে সেটাই হতো উত্তম।