ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে বোমা বিস্ফোরণের পর থেকে আশুরা উপলক্ষ্যে আয়োজিত তাজিয়া মিছিলের নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বসহকারে দেখা হয়।
রাজধানীর হোসেইনি দালান ইমামপাড়ায় পবিত্র আশুরা উদযাপন ও তাজিয়া মিছিল উপলক্ষ্যে নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে আজ বুধবার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় আগামী শনিবার (২৯ জুলাই) আশুরা নিয়ে ডিএমপির প্রস্তুতির কথাও জানান তিনি।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, আশুরার মূল অনুষ্ঠানটি পালন করা হবে ২৯ জুলাই। প্রতিবারই শান্তিপূর্ণভাবে এই অনুষ্ঠান পালিত হয়। কিন্তু ২০১৫ সালে তাজিয়া মিছিলে এখানে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল। ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ যারা তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছিল। এর পর থেকে এই অনুষ্ঠানের নিরাপত্তাটাকে আমরা বিশেষ গুরুত্বসহকারে দেখি। এ কারণেই আজ আমরা এখানে ঘুরে ঘুরে নিরাপত্তাব্যবস্থা দেখলাম।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা ইমামবাড়া এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে এসেছি। রাস্তাগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। এই এলাকার সামনে-পেছনে সাদা পোশাক ও ইউনিফরম পরিহিত পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবে। এই পুরো এলাকাটা আমরা ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করাব। এ ছাড়া মেশিনের সাহায্যে ম্যানুয়াল সুইপিং করাব, যাতে কোনো দুষ্কৃতকারী এখানে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটাতে পারে।
গোলাম ফারুক আরও বলেন, আগামী ১০ মহররম উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বিভাগ সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। আমরা আশা করব আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ জুলাই অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে এই অনুষ্ঠান পালিত হবে। এক্ষেত্রে আয়োজকদের প্রতি আমাদের কিছু পরামর্শ আছে। তাজিয়া মিছিলে যেন উচ্চস্বরে ডাক-ঢোল না বাজানো হয়, গায়ে চাদর ঢেকে কোনো লোক যেন চলাফেরা না করে, শরীরের আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করার দৃশ্য শিশুদের জন্য দৃষ্টিকটূ, তাই এসব বিষয় এড়িয়ে চলা উচিত।
আয়োজকদের সঙ্গে মিটিং করে এসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছি। উনারাও কিছু নিরাপত্তা পরামর্শ দিয়েছেন। আশা করব, সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করব।