Can't found in the image content. উত্তপ্ত মরুর বুকে কিভাবে বাঁচত বেদুইনরা? | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

উত্তপ্ত মরুর বুকে কিভাবে বাঁচত বেদুইনরা?

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: বুধবার, জুলাই ২৬, ২০২৩

উত্তপ্ত মরুর বুকে কিভাবে বাঁচত বেদুইনরা?
পৃথিবীজুড়ে ভয়াবহ গরমে অস্থির মানবজীবন। মরুর বুকে দহন-দাহনের মাত্রা যেন আরও তীব্র। তবুও যুগের পর যুগ মরুর উত্তপ্ত বালিতে সংগ্রাম করে গেছে মানুষ। টিকিয়ে রেখেছে নিজেদের অস্তিত্ব। দুবাইয়ের মরুভূমির প্রাচীনতম বাসিন্দা বেদুইনরা। দগ্ধ মরুতে তারা কিভাবে নিজেদের টিকিয়ে রেখেছে- এটাই তুলে ধরা হয়েছে খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে। 

প্রযুক্তি উন্নয়ন তখনো সম্ভব হয়নি। এসি, ফ্যানসহ শীতলীকরণ আধুনিক যন্ত্রগুলোও ছিল অনাবিষ্ককৃত। সেই অসহনীয় গরমেও কায়দা করে বেঁচে ছিলেন মরুভূমির বেদুইন গোষ্ঠী। সেন্টার ফর কালচারাল আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের প্রটোকল ম্যানেজার আহমেদ আল জাফলাহ বলেছেন, বেদুইনরা গ্রীষ্মের সময় ঠাণ্ডা থাকার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করত। 

বাতাসের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ
বেদুইনরা সর্বদাই বাতাস ও তারার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করত। যেকোনো ঋতু সম্পর্কে জানতে এ দুই বিষয়ে তাদের ছিল সজাগ দৃষ্টি। কোনো এলাকায় সমুদ্র থেকে ঠাণ্ডা বাতাস বইছে এ উপায়ে তারা জানতে পারত। আবার মরুভূমির কোনদিকে অত্যধিক গরম পড়তে পারে তাও আন্দাজ করা যেত। এভাবে যেদিকে তুলনামূলক ঠাণ্ডা বাতাস বইত সেখানেই আশ্রয় নিত তারা। 
 
বেদুইনরা রাতে ভ্রমণ করত 
সূর্যের আলো এড়াতে বেদুইনরা ভ্রমণের জন্য রাতকে বেছে নিয়েছিলেন। দিনের বেলা বিশ্রামের সময় ছায়াযুক্ত স্থান বেছে নিত। বেদুইনরা তাঁবু, উঁচু টিলা, গাছ, এমনকি তাদের উটের ছায়ায় বিশ্রাম নিত। যদি একেবারে কিছুই না পাওয়া যেত, তবে তারা প্রায়ই মাটিতে একটি গর্ত খুঁড়ে ছায়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকত।

গরমের সঙ্গে মিলিয়ে সঠিক পোশাক 
গরমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেদুইনরা সঠিক পোশাক নির্বাচন করত। পোশাকের ক্ষেত্রে আরামদায়ক সুতি কাপড়কেই প্রাধান্য দেওয়া হতো। পুরুষ এবং মহিলাদের উভয়ের পোশাক ছিল লম্বা এবং হালকা-পাতলা। সানস্ট্রোক প্রতিরোধে তারা মাথা ঢেকে রাখত। মরুভূমিতে বালির ঝড়ের সময় ধূলিকণা দূর করার জন্য মাথার আচ্ছাদনকে মুখোশ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। 
 
সবসময় হাইড্রেটেড থাকা 
প্রচণ্ড গরমে টিকে থাকার জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা ছিল অনস্বীকার্য। বেদুইনরা নিজেদের নিকটতম পানির উৎস নিয়ে সর্বদা ছিল সচেতন। যদিও মরুভূমিতে পানির নিশ্চয়তা ছিল ক্ষীণ, তবুও আল মারমুরের মতো বেশ কয়েকটি কূপের অস্বিত্ব ছিল। নাবিকরা এমন সব ঝর্ণার সন্ধান জানত যেখানে গ্রীষ্মেও পানির সন্ধান পাওয়া যায়। পানি সংগ্রহ করে সেগুলোকে মাটির পাত্রে বা পশুর চামড়ায় সংরক্ষণ করা হতো। 

কাজে বিরতি 
সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাজের মধ্যাহ্ন বিরতির ব্যাপারটি আধুনিক মনে হলেও এর মূল রয়েছে বেদুইন ঐতিহ্যের মধ্যে। দিনের সবচেয়ে উষ্ণতম সময়গুলো এড়াতে, প্রাপ্তবয়স্ক এবং বাচ্চারা উভয়েই প্রায়শই দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে ঘুমিয়ে যেত।