ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

সিদ্ধান্তের আগেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: শুক্রবার, জুলাই ২১, ২০২৩

সিদ্ধান্তের আগেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি

ফাইল ছবি

সরকারের সিদ্ধান্তের আগেই বাজারে হু হু করে বাড়ানো হচ্ছে চিনির দাম। ফলে বাড়তি দামে চিনি কিনতে ক্রেতার ভোগান্তি বাড়ছে। পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে চাল এবং ব্রয়লার মুরগিও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, শান্তিনগর ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে প্রায় দুই মাস আগে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি কেজি খোলা চিনি ১২০ ও প্যাকেটজাত চিনি ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ব্যবসায়ীরা ওই দামে চিনি বিক্রি করছেন না। খুচরা বাজারে তখন প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হয় ১৩৫ ও প্যাকেটজাত চিনি ১৪০ টাকা। তবে ৬ জুন সরকারিভাবে প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম ১৪০ ও প্যাকেটজাত চিনির দাম ১৫০ টাকা নির্ধারণ করতে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে চিঠি দিয়ে প্রস্তাব পাঠায় সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া দেওয়া না হলেও ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে চিনির দাম বাড়িয়ে বিক্রি শুরু করেছেন।

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসায়ীদের এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববাজারে চিনির দর পর্যালোচনা করে দেশে খুচরা পর্যায়ে খোলা চিনির কেজি ১৩৫ ও প্যাকেটজাত চিনির কেজি ১৪০ টাকা নির্ধারণের পরামর্শ দিয়ে সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় না থেকে এরই মধ্যে দাম বাড়িয়ে বাজারজাত শুরু করেছে চিনি পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। 

বৃহস্পতিবার রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চিনি ১৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। কারওয়ানবাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা ক্রেতা বলেন, এক কেজি চিনি কিনতে যদি ১৪০-১৫০ টাকা ব্যয় করতে হয়, তাহলে অন্যান্য পণ্য কি করে কিনব। চিনির মতো অন্যান্য পণ্যের দামও আকাশচুম্বি। যে যেভাবে পারছে দাম বাড়িয়ে আমাদের জিম্মি করে ফেলছে। দেখারও যেন কেউ নেই।

একই বাজারের মুদি বিক্রেতা মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, কোম্পানি থেকে দাম বাড়ানো হয়েছে। যে কারণে ডিলাররা আমাদের কাছে বাড়তি দামে চিনি সরবরাহ করছে। আমাদের বেশি দামে কিনতে হওয়ায় বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। 

এ ব্যাপারে সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্র জানায়, খোলা চিনির কেজি ১৩৫ এবং প্যাকেট ১৪০ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে বলে জেনেছি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে। তবে সিদ্ধান্ত আসার আগে কেউ দাম বাড়িয়ে বাজারে সরবরাহ করছে কিনা- সেটা জানা নেই। 

সূত্র আরও জানায়, বিশ্ববাজার থেকে এখনো অপরিশোধিত প্রতি টন চিনি ৬৬০ ডলারের বেশি দামে আমদানি করতে হচ্ছে। এ বিষয়টি ট্যারিফ কমিশনকে জানানো হয়েছে। 

খুচরা বাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৫২-৫৩ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে ৪৮-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৭০ টাকা, যা সাত দিন আগেও ১৬০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা, যা সাত দিন আগেও ১৬০ টাকা ছিল।