আগামী ২৯ জুলাই শনিবার সারা দেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে। মঙ্গলবার বাংলাদেশের আকাশে কোথাও ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে বুধবার পবিত্র জিলহজ মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে। বৃহস্পতিবার থেকে পবিত্র মহররম মাস গণনা শুরু হবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার বাংলাদেশের আকাশে হিজরি ১৪৪৫ সালের মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) থেকে মহররম মাস গণনা শুরু হবে।
পবিত্র আশুরা ইসলামের ইতিহাসে অসামান্য তাৎপর্যে উজ্জ্বল। ইবাদত-বন্দেগির জন্যও এ দিবস অতুলনীয়। সবকিছু ছাপিয়ে কারবালার মর্মন্তুদ সকরুণ শোকগাথা এ দিবসকে গভীর কালো রেখায় উৎকীর্ণ করে রেখেছে।
৬১ হিজরি সনের এই দিনে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা.) ও তার পরিবারের সদস্যরা ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে কারবালার ময়দানে শহীদ হন। পবিত্র আশুরা তাই মুসলিম উম্মাহর জন্য এক তাৎপর্যময় ও শোকাবহ দিন। দিনটি মুসলমানদের কাছে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠারও দিন।
এ দিনটি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে খুবই প্রিয়। তাই তিনি এ দিনে রোজা পালনের সওয়াব প্রদান করে থাকেন বহুগুণ। বিগত বছরের গুনাহের কাফফারা হিসেবে মহররমের দুটি রোজা রাখা মুসলমানদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
হিজরি সালের প্রথম মাস হচ্ছে মহররম। আশুরার দিন দেশে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকে। শিয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা বিশেষভাবে আশুরা পালন করে থাকেন। কারবালা প্রান্তরে হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) এর শাহাদতবরণের শোকাবহ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মূলত পালিত হয় আশুরা।
তবে ইসলামের ইতিহাসে পবিত্র আশুরা অসংখ্য তাৎপর্যময় ঘটনায় উজ্জ্বল হয়ে আছে। এই দুনিয়া সৃষ্টি, হযরত আইয়ুব (আ.) এর কঠিন পীড়া থেকে মুক্তি, হযরত ঈসা (আ.) এর আসমানে জীবিত অবস্থায় উঠে যাওয়াসহ অসংখ্য ঐতিহাসিক ঘটনার সঙ্গে মহররমের ১০ তারিখ অবিস্মরণীয় ও মহিমান্বিত। এই পৃথিবীর মহাপ্রলয় বা কিয়ামত মহররমের ১০ তারিখে ঘটবে বলে বিভিন্ন গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে।