ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, জুলাই ৫, ২০২৪ |

EN

ক্রিকেটার নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানের সাক্ষ্য

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: মঙ্গলবার, জুলাই ১৮, ২০২৩

ক্রিকেটার নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানের সাক্ষ্য
‘অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়া’, ‘ব্যভিচার’ ও ‘মানহানি’র অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসাইন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে রাকিবের করা মামলায় নাসির উদ্দিন আহমেদ নামে একজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। নাসির উদ্দিন ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।

মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন।

এদিন ক্রিকেটার নাসির ও তার স্ত্রী তামিমা আদালতে হাজিরা দেন। তাদের উপস্থিতিতে সাক্ষীদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত। জবানবন্দি শেষ হলে আসামিপক্ষ তাদের জেরা করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আতিকুর রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন।

গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি একই আদালত নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। তবে নাসিরের শ্বাশুড়ি সুমি আক্তারকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের ৬ মার্চ মহানগর দায়রা আদালতে নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করেন তাদের আইনজীবী কাজী নজিব্যুল্লাহ হিরু। অন্যদিকে সুমি আক্তারকে অব্যাহতির আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বাদী ও বিবাদী উভয় পক্ষের রিভিশন অবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মেদ মামলাটির বিচার চলবে বলে আদেশ দেন। একইসঙ্গে নাসিরের শ্বাশুড়ি সুমি আক্তার মামলার দায় থেকে অব্যাহতি থাকবেন বলে আদেশ দেওয়া হয়।

২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও নাসিরের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্র-পত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে সম্পূর্ণ জানেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক চলমান অবস্থাতেই নাসিরকে বিয়ে করেছেন তামিমা; যা ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী অবৈধ। তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন নাসির। তবে নাসির-তামিমার দাবি, তারা আইন মেনেই বিয়ে করেছেন।