Can't found in the image content. হিরো আলম ও শামীম ওসমান ইস্যুতে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

হিরো আলম ও শামীম ওসমান ইস্যুতে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: মঙ্গলবার, জুলাই ১৮, ২০২৩

হিরো আলম ও শামীম ওসমান ইস্যুতে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার

ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলা এবং শামীম ওসমান এমপি ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা বলেছে- গণতন্ত্রে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই। 

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সোমবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেছেন।  

ব্রিফিংয়ে উঠে আসে বুধবার নিউ ইয়র্কে নারায়ণগঞ্জের এমপি শামীম ওসমানের সঙ্গে কিছু বিক্ষোভকারীর বচসার কথা। এর পর তাদের একজনের বাড়িতে হামলা হয়। এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন ম্যাথিউ মিলার।  তিনি বলেন, গণতন্ত্রে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। 

হিরো আলম প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ, স্বচ্ছ ও পক্ষপাতিত্বহীন তদন্তে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করি। আমরা আগেও বলেছি এবং এখনও বলছি, আশা করব বাংলাদেশ সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। আমরা পরিস্থিতির দিকে অব্যাহতভাবে নজর রাখছি। 

ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন- সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর শেষে ফিরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি। এরই মধ্যে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে শাসকগোষ্ঠীর হামলা ফিরে এসেছে। সবেমাত্র সোমবার একটি উপনির্বাচন হয়েছে। তা বর্জন করেছে প্রধান বিরোধী দল। এমনকি সেখানে স্বতন্ত্র একজন প্রার্থীর ওপর হামলা হয়েছে। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এই নির্বাচনে শতকরা ১০ ভাগেরও কম ভোট পড়েছে। সুতরাং কিভাবে আপনি বিশ্বাস করবেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, যেহেতু ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল না। আর এখন উপনির্বাচনও অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। প্রার্থী তো হামলার শিকার হয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে আপনাদের অবস্থান কী? আপনারা কি এ বিষয়টি ফলো করছেন? এ প্রশ্নের জবাবে উপরোক্ত মন্তব্য করেন ম্যাথিউ মিলার। 

তার কাছে আবার প্রশ্ন করা হয়, বুধবার রাতে নিউ ইয়র্কে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় একজন এমপির সামনে বিক্ষোভ করেছেন বিরোধীদলীয় কিছু কর্মী। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশে তাদের একজনের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল ওই হামলা ফেসবুকে লাইভ দিয়েছে। তাতে তারা দেখিয়েছে, দেশের বাইরে থেকে যারা কথা বলছে, তাদের ওপর তারা হামলা চালাচ্ছে। এটা লাইভ দেখানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেউ যদি কথা বলেন অথবা প্রতিবাদ করেন অথবা সরকারি দলের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক দেখান- তাহলে দেশে তাদের বাড়ি নিরাপদ নয়। এর প্রেক্ষিতে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী? 

সাংবাদিকের এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার একটিই বাক্য ব্যবহার করেন। বলেন, আবারও আমি শুধু বলব, আপনি যে ধরনের সহিংসতার কথা উল্লেখ করেছেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে তার কোনো স্থান নেই।