হিরো আলমকে মারধরের বিষয়ে যা বললেন নির্বাচন কমিশনার
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালে মারধরের শিকার হয়েছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো. আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলম। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, এটা খুবই অন্যায়। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ১২৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এতগুলো কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র একটি কেন্দ্রে কিছু একটা ঘটেছে। তার অর্থ নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা হয়নি। একজন স্বতন্ত্রপ্রার্থী তার সমর্থকদের নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন। তখন তার সঙ্গে ৭০ জনের মতো ইউটিউবার ছিল।
ইসি বলেন, প্রার্থী ছাড়া অন্য কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারে না। এ কারণে তাদের বের করে দেয় পুলিশ। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রের বাইরে তাকে কে বা কারা যেন মারধর করেছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।
এছাড়া নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হয়ে কাজ করছে, রাজনৈতিক দলের এমন অভিযোগের ব্যাপারে মো. আলমগীর হোসেন বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে সবারই এমন কথা বলার অধিকার আছে। আর নির্বাচন কমিশনার অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হয়েছে কিনা, সেটি নির্ধারণ করবে জনগণ।
এর আগে সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, দুপুরের দিকে তিনি বনানী বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রে পরিদর্শনে গেলে বাইরে অবস্থান করা একদল লোক 'ভুয়া ভুয়া' বলে চিৎকার করে তাকে মারধর করে। মারধর থেকে বাঁচতে হিরো আলম দৌড়ে পালান। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা এ সময় তাকে পেছন থেকে ধাওয়া দেন। বনানীর ২৩ নম্বর সড়কে একটি স্থানে গিয়ে একটি রিকশায় ওঠেন। পরে তার সেখানে পৌঁছালে গাড়িতে করে চলে যান।