Can't found in the image content. জামিন পাননি মামুনুল হক, ৩ মাসের জন্য মুলতবি শুনানি | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

জামিন পাননি মামুনুল হক, ৩ মাসের জন্য মুলতবি শুনানি

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, জুলাই ১০, ২০২৩

জামিন পাননি মামুনুল হক, ৩ মাসের জন্য মুলতবি শুনানি
হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে নাশকতার দুই মামলায় জামিন দেননি আপিল বিভাগ।

সোমবার (১০ জুলাই) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন। সেই সঙ্গে তিন মাসের জন্য মামুনুল হকের জামিন শুনানি স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) করেন আদালত।

এর আগে গত ৭ মে মামুনুল হকের হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ‘নো অর্ডার’ এ আদেশ দেন।

এ সময় আদালতে মামুনুল হকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।

গত ৩ মে ২০১৩ ও ২০২১ সালে ঢাকার পল্টন ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় দায়ের করা পাঁচ মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে জামিন দেন হাইকোর্ট।

এর মধ্যে পল্টন ও হাটহাজারীর দুই মামলায় হাইকোর্টের জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ।

মামুনুল হকের বিরুদ্ধে প্রায় ৪১টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে নিম্ন আদালতে ১৩টি এবং হাইকোর্টে ৫ মামলায় জামিন পান।

২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের আলোচিত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের নামে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় একটি মামলা করেন তার দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানাধীন রয়েল রিসোর্টে জান্নাতসহ মামুনুল হককে আটক করেন স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে জান্নাতকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন মামুনুল। এর পর ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ঘিরে সহিংসতা ও রিসোর্টকাণ্ডে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় দুটি মামলা হয় মামুনুল হকের নামে। এ মামলায় গ্রেফতারের পর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।