Can't found in the image content. ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, জুলাই ১০, ২০২৩

ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইরানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনজুরুল করিম খান চৌধুরী রোববার দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে দেখা করে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। এ সময় দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

ইরানের সংবাদমাধ্যম মেহের নিউজ ও ইরান নিউজ ডেইলি এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়, পরিচয়পত্র পেশ করার পর উভয়ের মধ্যে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাকালে ইরানের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান এবং দেশটিতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার কার্যক্রমের সাফল্য কামনা করেন। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যকার ঐতিহাসিক যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের কথা উল্লেখ করে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক, বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে তাদের ইরান সফরের আমন্ত্রণ জানান। 

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ ও ইরান জ্বালানি, প্রযুক্তি, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ প্রভৃতি খাতে যৌথভাবে কাজ করলে উভয় দেশই লাভবান হবে।

সাক্ষাৎকালে ইরানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম রাইসির কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছাবার্তা পৌঁছে দেন। তিনি ইরানে তার অবস্থানকালে  দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরও গভীর করার জন্য কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

রাষ্ট্রদূত মনজুরুল করিম খান চৌধুরী উভয় দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ ও অর্থবহ করতে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রসারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তন ইস্যুতে ইরান ও অন্যান্য মুসলিম দেশের সহযোগিতা কামনা করেন  এবং এ ব্যাপারে ইরানকে ভূমিকা রাখার জন্য অনুরোধ জানান।  

আলোচনায় বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যে বিভিন্ন সময় স্বাক্ষরিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তিগুলো বিশেষ করে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্যচুক্তি কার্যকর করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়, যা দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে সহায়তা করবে।