ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, জুন ২৯, ২০২৪ |

EN

ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বিএনপির গোপন আঁতাত রয়েছে: কাদের

বিশেষ প্রতিবেদক | আপডেট: সোমবার, জুলাই ১০, ২০২৩

ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বিএনপির গোপন আঁতাত রয়েছে: কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইসরাইল ও তার গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বিএনপির গোপন আঁতাত রয়েছে। বিএনপির এক সিনিয়র নেতার সঙ্গে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার বৈঠক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। এ ধরনের দেশবিরোধী অপতৎপরতার সঙ্গে বিএনপি সর্বদাই জড়িত থাকে বলেও দাবি করেন তিনি।

রোববার এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন। বিবৃতিতে তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মনগড়া আখ্যায়িত করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। 

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য ইসরাইলি প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতাদের ফোন হ্যাক করার কাল্পনিক বক্তব্য প্রদান করেছেন। একজন রাজনৈতিক নেতার এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য অত্যন্ত লজ্জাকর। 

ওবায়দুল কাদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণের মুক্তি আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোচ্চার ছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও ফিলিস্তিনের জনগণের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার রয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী উদযাপনে ফিলিস্তিনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাতকে শেখ হাসিনা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফোন হ্যাকের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। কার কার ফোন হ্যাক করা হয়েছে? তথ্য-প্রমাণসহ তা উল্লেখ না করেই এ রকম একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে ঢালাও মন্তব্য করা বেআইনি। 

‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মনগড়া এ বক্তব্য তাদের চলমান অপপ্রচার ও গুজব-সন্ত্রাসের ধারাবাহিকতা। ভুয়া ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে দেশের জনগণ ও বিদেশিদের প্রভাবিত করার জন্য মির্জা ফখরুলরা ষড়যন্ত্রমূলক এ অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছেন। আমি আহ্বান জানাব, জল ঘোলা করার জন্য জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এভাবে অন্ধকারে ঢিল ছুড়বেন না। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারি সব সংস্থা সুনির্দিষ্ট আইন দিয়ে পরিচালিত হয়। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে আওয়ামী লীগ সরকারের সাহসী ও বলিষ্ঠ ভূমিকা দেশে এবং বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। দেশবিরোধী নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড দমন ও শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সরকারি সংস্থাগুলো সর্বদা তৎপর রয়েছে। সরকার সংবিধান অনুযায়ী সব নাগরিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।