ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

ব্র্যাক কুমন মোহাম্মদপুর সেন্টার উদ্বোধন করলেন আরিফা জেসমিন কনিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শুক্রবার, জুলাই ৭, ২০২৩

ব্র্যাক কুমন মোহাম্মদপুর সেন্টার উদ্বোধন করলেন আরিফা জেসমিন কনিকা
০৭ জুলাই ২০২৩খ্রি.  সন্ধ্যায় জাপানিজ শিক্ষা পদ্ধতি ‘কুমন’-এর মোহাম্মদপুর সেন্টারের আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং উদ্যোক্তা আরিফা জেসমিন কনিকা।
 
এ সেন্টারটি বাংলাদেশে কুমনের ১০ম সেন্টার হিসেবে কার্যক্রম শুরু করেছে।

এসময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ব্র্যাকের ডিরেক্টর, বি কে এল এবং চীফ ফিনান্সিয়াল অফিসার তুষার ভৌমিক, জাপানের ব্র্যাক কুমন ইন্সিটিটিউট অব এডুকেশন কোম্পানি লিমিটেডের এভিপি ইউসুকে সুগাওয়া, ব্র্যাক কুমন লিমিটেডের হেড নেহাল বিন হাসান, বনশ্রী সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মাসুমা তালুকদার তিন্নি, মোহাম্মদপুর সেন্টারের ইন্সপেক্টর ফারহানা জাহানসহ ব্র্যাক কুমন লিমিটেড এবং ব্র্যাক এর কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আরিফা জেসমিন কনিকা উপস্থিত অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাচ্চাদের গণিত ও ইংরেজি কারিকুলামে দক্ষ করে তোলার পাশাপাশি একবিংশ শতাব্দীর গুরুত্বপূর্ণ স্কিল ক্রিটিকাল থিংকিং, ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স ও প্রবলেম সল্ভিং এর মত গুরুত্বপূর্ণ স্কিল নিয়ে কাজ করে জাপানিজ আফটার স্কুল সেল্ফ লার্নিং মেথড 'কুমন'। 

কুমন বাচ্চাদের স্বনির্ভর হতে শেখায় উল্লেখ করে তিনি বলেন এর ফলে তাদের মধ্যে জীবনমুখী দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
কনিকা বলেন বিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীর চালিকাশক্তি ছিল বিজ্ঞান। একবিংশ শতাব্দীতে বিজ্ঞানের পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তিও এখন চালকের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। ৩-১৬ বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্য ডিজাইন করা কুমন মেথড এর মাধ্যমে শিশুদের যৌক্তিক ও গাণিতিক বিশ্লেষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে যা পরবর্তীতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপুর্ণ অবদান রাখবে। 

তিনি বলেন আমাদের শিশুরা যেন একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারে ব্র্যাক কুমন সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি জানান আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ইতোমধ্যে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলায় সিংড়া দমদমা পাইলট  স্কুল ও কলেজ এর শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে কুমন শিক্ষা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে আইসিটি বিভাগের অধীন আরো ৬টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে এ পদ্ধতি চালু করা হবে।

এছাড়া এ বিভাগের ইডিসি প্রকল্পের আওতায় ৩০০টি ল্যাবে জাপানী এই শিক্ষা পদ্ধতি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান। 

তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে প্রয়োজন স্মার্ট সিটিজেন। আর স্মার্ট সিটিজেনের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ব্রাক কুমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
 
উল্লেখ্য, মোহাম্মদপুর সেন্টার সহ বর্তমানে ঢাকায় ব্র্যাক কুমনের ১০ টি সেন্টার এর কার্যক্রম অব্যাহত আছে। ২০২৫ সালের মধ্যে পুরো বাংলাদেশে সর্বমোট ৫০ টি সেন্টার খোলার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্র্যাক কুমন কর্মকর্তারা।