গত সোমবার রাতে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়াকে তার পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে নতুন করে রাশেদ খাঁনকে দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করার ঘোষণা দিয়েছিল সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূরের পন্থিরা। এই ঘটনার পর গতকাল মঙ্গলবার পাল্টা আরেক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নূর ও রাশেদকে সরিয়ে আহ্বায়ক পদে নিজের নাম ও সদস্য সচিব পদে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রধান উদ্যোক্তা হাসান আল মামুনের নাম ঘোষণা করেন ড. রেজা কিবরিয়া। এ নিয়ে দলের মধ্যে চলছে সংকট। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে বিভ্রান্ত না হতে দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ।
মঙ্গলবার (২০ জুন) গভীর রাতে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতাকর্মীদের সতর্ক করা হয়।
ছাত্র অধিকার পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্র, যুব, শ্রমিক ও পেশাজীবি অধিকার পরিষদ এর যৌথ উদ্যোগে ২৬ অক্টোবর ২০২১ সালে নতুন রাজনৈতিক দল "গণঅধিকার পরিষদ" ঘোষিত হয়েছিল। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ এর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক গণঅধিকার পরিষদ এর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সকল নেতাকর্মীদের ভ্রাতৃত্ব বজায় রেখে সামাজিক মাধ্যমে বিতর্ক থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হলো।
কাউকে ইনসাফ কমিটির কর্মসূচিতে না যেতে সতর্ক করে বিবৃতিতে বলা হয়, গণঅধিকার পরিষদের "ইনসাফ কায়েম কমিটি"র কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে ছাত্র পরিষদের সদস্যদেরও এসব কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হলো। গণঅধিকার পরিষদ এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক মতামতকে উপেক্ষা করে ড. রেজা কিবরিয়া তার অনুগত জেলা জজ শামসুল আলমকে নিয়ে একক সিদ্ধান্তে ইনসাফ কমিটির কর্মসূচি বাস্তবায়নে যুক্ত আছেন। ফলে নৈতিক অবস্থান থেকে তিনি সংগঠনের আহবায়ক থাকতে পারেন না। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশ, জাতি ও সংগঠনের কল্যাণে দলের কাউন্সিল পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক হিসেবে মুহাম্মদ রাশেদ খান ও সদস্য সচিব হিসেবে ভিপি নুরুলহক নুর এর নেতৃত্বে রাজনৈতিক আন্দোলন - সংগ্রামে অংশগ্রহণ করবে।
একই সাথে গণঅধিকার পরিষদকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে শ্রদ্ধা রেখে দ্রুত কাউন্সিল আয়োজনের আহবান করছে। ছাত্র অধিকার পরিষদ দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও "নির্দলীয় সরকার"র অধীনে নির্বাচনের জন্য লড়াই- সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে বলেও দাবি করা বিবৃতিতে।