ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

পদ্মা সেতু প্রকল্প: গৃহীত ঋণের আরও দুটি কিস্তি পরিশোধ

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, জুন ১৯, ২০২৩

পদ্মা সেতু প্রকল্প: গৃহীত ঋণের আরও দুটি কিস্তি পরিশোধ
নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত দেশের সর্ববৃহৎ অবকাঠামো পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের জন্য গৃহীত ঋণের ৩য় ও ৪র্থ কিস্তি পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার (১৯ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ উপস্থিতিতে সেতু বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ও সচিব মো. মনজুর হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে সিনিয়র সচিব, অর্থ বিভাগের নিকট উক্ত ঋণের ৩য় ও ৪র্থ কিস্তি বাবদ ৩১৬,০২,৬৯,০৯৩/- টাকা (তিনশত ষোল কোটি দুই লক্ষ উনসত্তর হাজার তিরানব্বই টাকা) পরিশোধ করেন। 

অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবর্গ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সিনিয়র সচিব/সচিববৃন্দ এবং ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে দেশের সর্ববৃহৎ অবকাঠামো পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। নির্মাণ ব্যয়ের প্রায় পুরো অর্থ বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে ঋণ হিসেবে দিয়েছে অর্থ বিভাগ। 

গত ২০১২ সালের ২৬ জুলাই সরকারের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সংশোধিত ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। ঋণ চুক্তি অনুযায়ী এক শতাংশ সুদসহ ৩৫ বছরে ঋণের টাকা ফেরত দেবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। ঋণ পরিশোধের শিডিউল অনুযায়ী প্রতি অর্থবছরে ৪টি কিস্তি করে সর্বমোট ১৪০টি কিস্তিতে সুদ-আসলে সর্বমোট ৩৬,৩৯৩৯৩ কোটি টাকা পরিশোধ করা হবে। 

এছাড়া, সেতুর ডিটেইল ডিজাইনের জন্য এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক থেকে ১৫ বছর মেয়াদে ০২টি ঋণ চুক্তির আওতায় দুই শতাংশ সুদে মোট ১,৭৪,৫৩,০০০ এসডিআর ঋণ নেয়া হয়েছে। যা বছরে ৪টি কিস্তি করে মোট ৬০টি কিস্তিতে সুদ-আসলসহ মোট ২,৮০,৯৯,৩৩০ এসডিআর পরিশোধ করা হবে। 

উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে ১ম ও ২য় কিস্তি বাবদ মোট ৩১৬,৯০,৯৭০, ৫০/- টাকা (তিনশত ষোল কোটি নব্বই লক্ষ সাতানব্বই হাজার পঞ্চাশ টাকা) পরিশোধ করা হয়েছে। প্রথম বছরে সর্বমোট ৬০২,৯০,০৬,৬১৪২/- টাকা পরিশোধ করা হল।

চুক্তি অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে সেতুটির ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকারের এ ঋণ পরিশোধের জন্য ২০৫৬-৫৭ অর্থবছর পর্যন্ত সময় পাবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। 

উল্লেখ্য, সেতুটি গত বছরের ২৫ জুন উদ্বোধনের পর হতে এ বছরের ১৮ জুন পর্যন্ত মোট ৭৭৯ কোটি ৭৫ লাখ ৮৭ হাজার টাকার টোল আদায় হয়েছে।