Can't found in the image content. ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আফ্রিকার ১০ প্রস্তাবে যা আছে | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আফ্রিকার ১০ প্রস্তাবে যা আছে

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, জুন ১৯, ২০২৩

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আফ্রিকার ১০ প্রস্তাবে যা আছে

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সংঘাত নিরসনে ১০ দফা শান্তি প্রস্তাব দিয়েছেন আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। শনিবার সেন্ট পিটার্সবাগে আফ্রিকার ৭ দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি তাকে এসব প্রস্তাবের পাশাপাশি যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানান। খবর আল-জাজিরা, তাসের।

ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া আফ্রিকান ইউনিয়নের কাছ থেকে আসা প্রস্তাব নিরীক্ষা করে দেখতে প্রস্তুত। এর আগে এ প্রতিনিধি দল কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গেও এই শান্তি উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

পুতিন বলেন, ইউক্রেন রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ইস্তাম্বুলে একটি প্রাথমিক শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করা সত্ত্বেও তারা এই কাজ করেছে। এ ছাড়া জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী রাশিয়া দনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিতে পারে।

প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার প্রস্তাবের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে রয়েছে-উভয় দেশের যুক্তি ও অবস্থান শোনা, উভয় পক্ষে সামরিক কার্যক্রম কমিয়ে আনা, জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্র ও জনগণের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, সব দেশের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, উভয় দেশের শস্য ও সার পরিবহণ নিশ্চিত করা, যুদ্ধে প্রভাবিত জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা, বন্দি বিনিময় ও শিশুদের প্রত্যাবাসনের বিষয়গুলোর নিষ্পত্তি, যুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্গঠনের রূপরেখা তৈরি, যুদ্ধে প্রভাবিত জনগোষ্ঠীর জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা রাখা ও আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ আরও ঘনিষ্ঠ করা।

আফ্রিকার প্রতিনিধি দলে ছিলেন জাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হাকাইন্দে হিচিলেমা, কমোরোসের প্রেসিডেন্ট আজালি আসসৌমানি, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সাল, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, মিশরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা মাদবৌলি ও কঙ্গো ও উগাণ্ডার প্রেসিডেন্টের বিশেষ প্রতিনিধি ফ্লোরান সিবা ও রুহাকানা রুগানদা।

বৈঠকের শুরুতে পুতিন বলেন, রুশ পররাষ্ট্র নীতিতে আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, যারা শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চান তাদের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা করতে রাশিয়া সব সময়ই প্রস্তুত।