বাংলা নিউজ ও একাত্তর টিভির সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল ৩টার দিকে মৃত্যুবরন করেছেন ( ইন্না..... রাজিউন)। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর। তিনি অবিলম্বে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়নের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এই হত্যা ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের কাঠগোড়ায় দাঁড় করানোর জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি বিনীত আহ্বান জানান। সাংবাদিক রাব্বানী হত্যার বিচার দাবিতে বিএমএসএফ'র পক্ষ থেকে জেলা, উপজেলায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানানো হয়, অন্যথায় দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়।
জানাগেছে, রাব্বানী বুধবার ১৪ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে দায়িত্ব পালন করে ফেরার পথে একদল সন্ত্রাসী তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে বৃহস্পতিবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়।
জানাগেছে,জামালপুরে এক চেয়ারম্যানের দায়েরকৃত দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা খারিজ করে ময়মনসিংহ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল আদালত। আদালতে বিচারক বজলুর রহমান এ আদেশ দেন।
মামলাটি করেছিলেন গত ১৪ মে ময়মনসিংহ সাইবার ক্রাইম ট্রাবুনালে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদুল আলম বাবু।
মামলায় বাংলানিউজের ডিস্ট্রিক্ট করেসপনডেন্ট ও একাত্তর টিভির গোলাম রাব্বান নাদিম, দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকার বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি আল মুজাহিদ বাবু ও সপ্তাহিক বকশীগঞ্জ পত্রিকার নিজস্ব প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন রোমনসহ অপর আরেকজনকে আসামী করা হয়।
প্রসঙ্গত, মাহামুদুল আলম বাবু, সাধুরপাড়া ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ মনোনিত চেয়ারম্যান। তিনি সাবিনা ইয়াসমিন নামে এক মহিলাকে বিচারের আশ্বাসে ছলনা করে ২ ছেলে ও স্ত্রী রেখে বিয়ে করেন। পরবর্তী সময়ে সাবিনা ইয়াসমিনকে ১ কন্যা সন্তান রেখে গত ৮ মে ক্ষমতা প্রভাব খাটিয়ে তারিখ পিছিয়ে তালাক প্রদান করেন। এ ঘটনা বাংলানিউজসহ একাধিক পত্রিকার সংবাদ প্রকাশ হলে ক্ষুব্দ হয়ে বকশীগঞ্জের ৩ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মুলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
এদিকে সাংবাদিক রাব্বানী নাদিমের ওপর বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলায় হত্যার ঘটনায়
সাধুরপারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদ আলম বাবু ও তার ছেলে রিফাতকে দায়ী করে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবী জানাচ্ছেন ওই এলাকার সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী।