বিএমএসএফ-বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ প্রণয়নকাল থেকেই এর কয়েকটি ধারার সংশোধন দাবি করে আসছে। স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী ৩২ ধারা বাতিল ৩১ ধারা সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ পুরোপুরি বন্ধ রাখারও দাবি জানিয়েছে। সংশোধন প্রক্রিয়ায় এই আইনের বড় অংশীদার পেশাদার সাংবাদিক সমাজকে যুক্ত করার কথা বার বার বলা হলেও অদৃশ্য কারণে তাদের উপেক্ষা করা হচ্ছে। সরকারের উচিৎ জাতীয় পর্যায়ের সাংবাদিক সংগঠন সমুহের নেতৃবৃন্দের সাথে দ্বি-পাক্ষিক আলোচনা করে আইনটি চুড়ান্ত প্রয়োগ করা।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর বুধবার এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আইনটিতে সাংবাদিকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বরং আইনটি প্রণয়নকাল থেকেই বলা হচ্ছে, সাংবাদিকরা দূর্ণীতিবাজদের বিরুদ্ধে, ঘুষখোরদের বিরুদ্ধে, মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে কলম চালাবে। সাংবাদিকরা দেশ-সমাজ আর রাষ্ট্রের পক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কলম চালিয়ে তাকে চোরের মত কোমড়ে দড়ি আর হাতকড়া পড়তে হয় তখন লজ্জা আর কষ্টের শেষ থাকেনা। উদাহরণ হিসেবে যদি বলা হয়, ''ডাক্তাররা রোগির চিকিৎসাকালে রোগি মারা গেলেতো ডাক্তারদের হত্যা মামলায় আসামী হতে হয়না''। ''তবে কেন সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যাঁতাকলে হাতকড়া পড়তে হবে,কারাভোগ করবে?'' এটি সাংবাদিকদের সাথে নিছক ফাজলামি বটে। অবিলম্বে মন্ত্রী-এমপিদের দেয়া প্রতিশ্রুতি এবং সারাদেশের সাংবাদিকদের প্রাণের দাবি অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি সংশোধন করা হোক; নয়তো কঠোর কর্মসূচী নেয়া হবে।